এফএনএস: মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ল²ীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার উপক‚ল সংলগ্ন নিচু জমি। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপক‚লে ঢুকতে শুরু করে। অবশ্য বিকেলে ৪ টার পর তা নেমে যায়। স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের পানিতে নদী সংলগ্ন ফসলি জমিগুলো ডুবে যায়। এতে সয়াবিন, বোরো ধান এবং রবি শস্যের ক্ষেতে পানি জমেছে। ফলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জলবায়ু এবং উপক‚লীয় পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সাংবাদিক সানা উল্যাহ সানু বলেন, দুপুর ১টার দিকে শুরু হওয়া জোয়ার শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এতে উপক‚লীয় ফসলি জমিগুলো তলিয়ে যায়। নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি খুব সহজেই লোকালয় এবং ফসলি ক্ষেতে ঢুকে পড়েছে। আন্তর্জাতিক জোয়ার বিষয়ক একটি সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রোববারের জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ মিটার পানি বেড়েছে। আজ সোমবার এবং মঙ্গলবারও একই মাত্রায় জোয়ারের পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, মেঘনায় দিনে দুইবার জোয়ার-ভাটা হয়। এর মধ্যে একটি উচ্চ মাত্রায়, আরেকটি নিম্ন মাত্রায়। প্রতি বছরের মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সৃষ্ট জোয়ার ব্যাপক ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় ক্ষেতে থাকা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কৃষকরা যাতে মে মাসের আগেই ফসল ঘরে তুলতে পারে, কৃষি বিভাগ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আর দ্রুতই বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবিও জানান তিনি। চর কালকিনি এলাকার কৃষক হানিফ মিয়া জানান, জোয়ারের পানি তার সয়াবিন ক্ষেতে ঢুকেছে। ক্ষেতের সয়াবিন অপরিপক্ক হওয়ায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফসল ঘরে তোলার সময় হলে তারা এমন দুর্যোগের মধ্যে পড়েন। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়েফ উল্যাহ বলেন, জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলেও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জোয়ারের পানি ঢুকে নদী সংলগ্ন কয়েকটি ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে মরিচ ক্ষেতসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করব।