এফএনএস: দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে গত ২৮ ফেব্র“য়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। মাত্র চারদিনেই মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। আগামী ১০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আপাতত এক লাখ ৬১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেন এমন প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগোলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ২০ থেকে ৩০ হাজার আবেদনকারীর পরীক্ষা আয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব গতকাল শুক্রবার সকালে বলেন, অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হওয়ার মাত্র চারদিনেই গত বছরের তুলনায় এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ১০ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এতো বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়ার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক আহসান হাবিব বলেন, করোনার কারণে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের ফলে এ বছর বেশি শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এছাড়াও মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নূন্যতম জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০২০-২১) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এতে মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭টি। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে চার হাজার ৩৫০টি। এছাড়াও বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ছয় হাজার ৩৪৭টি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, গত বছরের মতো এবারও ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর থাকবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে ১০০ ধরে মোট ২০০ নম্বর নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস করা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।