এফএনএস বিদেশ: লেবানন—বংশোদ্ভূত আমেরিকান ব্যবসায়ী মাসাদ বুলোসকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য ও আরববিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রম্নথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে বুলোসকে সফল আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সম্মানিত নেতা হিসেবে প্রশংসা করেন ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। মাসাদ বুলোস ট্রাম্পের মেয়ে টিফানির শ্বশুর। এর একদিন আগেই আরেক মেয়ে ইভাঙ্কার শ্বশুর চার্লস কুশনারকে ফ্রান্সের পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারশিবিরে সক্রিয় ছিলেন মাসাদ বুলোস। বিশেষ করে আরব—আমেরিকান মুসলিম ভোটারদের মন জয়ে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। পোস্টে ট্রাম্প আরও লেখেন, “মাসাদ দক্ষ চুক্তি নির্মাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অটল সমর্থক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং এর স্বার্থের জন্য একজন শক্তিশালী প্রবক্তা হবেন এবং আমি তাকে আমাদের দলে পেয়ে আনন্দিত।” তবে মাসাদ বুলোস মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মতামত নিয়ে বেশিরভাগ সময় নীরব থেকেছেন। নিজের নীতিগত অবস্থানও স্পষ্ট করেননি তিনি। তিনি লেবাননের একটি রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু কিশোর বয়সেই টেক্সাসে চলে যান এবং পরে নাইজেরিয়ায় তার পরিবারিক ব্যবসায়িক উদ্যোগে যোগ দেন। এর আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছিল, মাসাদ বুলোস ২০০৯ সালে লেবাননের সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে স¤প্রতি নিউজউইককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন তিনি। মাসাদ আরও অস্বীকার করেছেন, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল—আসাদের সঙ্গে সংযুক্ত লেবাননের রাজনীতিবিদ সুলেইমান ফ্রানজিয়েহ’র বন্ধু। এই ফ্রানজিয়েহ’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে হিজবুল্লাহ। অবশ্য মাসাদ বুলোস বলেছেন, তিনি লেবাননের কোনো দলের সঙ্গে সংযুক্ত নন। তবে তিনি লেবাননের বেশিরভাগ খ্রিষ্টান নেতার সঙ্গে পরিচিত। বুলোসের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়া প্রক্রিয়ার মধ্যেই এই ঘোষণা এসেছে।