এফএনএস স্পোর্টস: স্ট্রাসবার্গের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফরাসি লিগ ওয়ানের রেকর্ড ১১তম শিরোপা জয় করেছে পিএসজি। পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন বানানো গোলটি করেছেন লিওনেল মেসি। মেসির গোলের পর কেভিন গামেইরো স্টাসবার্গের পক্ষে সমতা ফেরান। কিন্তু এই ড্রয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সকে ৪ পয়েন্টে পিছনে ফেলে শিরোপা নিশ্চিত করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। ১৯৮১ সালে সেইন্ট-এতিয়েন নিজেদের ১০ম শিরোপা জিতে যে রেকর্ড গড়েছিল তা ছাড়িয়ে গেল পিএসজি। সাবেক কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে এক বছর আগে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিল পিএসজি। গত ১১ মৌসুমে এটি পিএসজির নবম শিরোপা। কাতারি মালিকের অধীনে এ সময়টা ফরাসি ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে যাচ্ছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের দল। পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফার গ্যালতিয়ের ম্যাচ শেষে স¤প্রচার প্রতিষ্ঠান ক্যানাল প্লাসকে বলেছেন, ‘আজ দুপুরে আমি বুন্দেসলিগা মৌসুমের শেষ দিনের খেলা দেখেছি। যেকোন লিগে জয়ী হওয়াটা সত্যিই কঠিন। এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নরা সবাই সমস্যায় পড়েছে। সে কারনেই এবারের শিরোপাটা সত্যিই বিশেষ কিছু। এবারের শিরোপা জয়টা স্বাভাবিক ছিলনা। এমনকি আমরা পিএসজি হওয়া সত্তেও সবকিছু সবসময় আমাদের অনুকুলে ছিল না।’ সপ্তাহের শুরুতে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের থেকে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল পিএসজি। গোল ব্যবধানেও লেন্সের থেকে এগিয়ে ছিল। লেন্স যদি এর মধ্যে কোন ম্যাচে হারতো তবে এক ম্যাচ হাতে রেখে পরাজিত হলেও পিএসজির শিরোপা নিশ্চিত হতো। কিন্তু লেন্স কাল রেলিগেটেড আয়াসিওর সাথে ৩-০ গোলে জয়ী হওয়ায় শিরোপা নির্ধারণে পিএসজির এক পয়েন্ট প্রয়োজন হয়ে পড়ে। স্ট্রাসবার্গের মাঠে ৫৯ মিনিট কিলিয়ান এমবাপ্পের অ্যাসিস্টে মেসি লিগের ১৬তম গোল করে সফরকারীদের এগিয়ে দেন। ম্যাচ শেষের ১১ মিনিট আগে পিএসজির সাবেক স্ট্রাইকার গামেইরো সমতা ফেরান খেলায়। মরহান সানসনের শট জিয়ানলুইজি ডোনারুমা রুখে দেওয়ার পর ফিরতি বল জালে জড়ান গামেইরো। ড্রয়ের কারণে লাভ হয়েছে কার্যত দুই দলেরই। স্ট্রাসবার্গও লিগ ওয়ানে টিকে থাকা নিশ্চিত করেছে। মৌসুমের শুরুটা দারুণভাবে করেছিল পিএসজি। বিশ্বকাপের আগে তারা কোন ম্যাচে হারেনি। প্রথম ১৭ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে এ বছরই তারা প্রথম হারের মুখ দেখেছে। এরপর অবশ্য আরো পাঁচ ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে। ফরাসি কাপেও একই অবস্থান থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমের শেষে চুক্তি শেষ হয়ে যাবার পর মেসিও ক্লাব ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে আগামী সপ্তাহে ক্লেমন্টের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে পিএসজির জার্সি গায়ে মেসির ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।