এফএনএস স্পোর্টস: কোভিড মহামারীর জন্য ২০২০ সালের ব্যলন ডি’অর বাতিল না হলে সেটি রবের্ত লেভানদোভস্কিই জিততেন, গত বছরের ওই বর্ষসেরার পুরস্কারটি হাতে নিয়ে লিওনেল মেসির এমন মন্তব্য ছুঁয়ে গিয়েছিল অনেককে। গতবারের মতো ২০২১ সালের ‘দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ারও’ জিতেছেন পোলিশ তারকা। কিন্তু পুরস্কারটির লড়াইয়ে ভোট দেওয়ার সময় আর তাকে সেরা বলে গণ্য করেননি মেসি। বিষয়টি বেশ অবাক করেছে বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ডকে। লেভানদোভস্কির বললেন, সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর তাকে ভোট না দেওয়ার কারণটা ঠিক বোধগম্য নয়। তিনি নিজে অবশ্য মেসিকেই ভোট দিয়েছিলেন। গত ১৭ জানুয়ারি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে লেভানদোভস্কির নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি পেছনে ফেলেন মেসি ও লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহকে। সব জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, বিশ্বের তিন শতাধিকের বেশি সাংবাদিক ও ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বেছে নেওয়া হয় বর্ষসেরা ফুটবলারকে। মেসির চোখে গত বছরের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজনও ছিলেন না লেভানদোভস্কি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের প্রথম পছন্দ ছিলেন পিএসজি সতীর্থ নেইমার। দ্বিতীয় ভোট তিনি দেন আরেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপেকে। তার তৃতীয় ভোটটি পান রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। অন্যদিকে, পোল্যান্ড অধিনায়ক লেভানদোভস্কি তার প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন চেলসি মিডফিল্ডার জর্জিনিয়োকে। পরের দুটি ভোট তিনি দেন যথাক্রমে মেসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। স¤প্রতি পোলিশ ম্যাগাজিন পিউকা নজনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন লেভানদোভস্কি। সেখানেই ওঠে ফিফা পুরস্কারে ভোটের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টাইন তারকার তাকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। “বিষয়টি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। ২০২১ সালে এবং এর আগে মেসি যা করেছে তার জন্য আমি তাকে ভোট দিয়েছি। ব্যালন ডি’অরে মেসি আমার পক্ষে তার মত দিয়েছিল। এরপর কেন তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে, আমি জানি না।” “তবে এটা নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই, কোনো অভিযোগ নেই। বিষয়টি আমি মেনে নিয়েছি, সে তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে ‘ব্যালন ডি’অর’ ও ‘দা ফিফা বেস্ট’ পুরস্কারটি দুটির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে তুলনা। আছে ভিন্ন মতও। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ‘দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কার জয়ী লেভানদোভস্কি এটিকেই এগিয়ে রাখছেন ব্যালন ডি’অর থেকে। তার মতে, ফিফার পুরস্কার জয়ী নির্ধারণে কোচ ও খেলোয়াড়রাও থাকেন বলে এই পুরস্কার জেতাটা অনেক বেশি গর্বের। “স¤প্রতি আমি দুটি পুরস্কার নিয়ে ভেবেছি: দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার ও ব্যালন ডি’অর। আমার মতে, ব্যালন ডি’অরের চেয়ে ফিফার পুরষ্কারটি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।” “সম্ভবত মর্যাদার বিচারে দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ারের চেয়ে ব্যালন ডি’অর এগিয়ে থাকবে। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোচ ও খেলোয়াড়দের ভোটে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়াটা আমাকে গর্বিত করে। কারণ আমি জানি অনেক বছর ধরে আমাকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে।”