ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবারও মেহেরপুরের মুজিবনগরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরই পুলিশ, বিজিবি, আনসার, মুক্তিযোদ্ধা, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইডসহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গার্ড অব অনার এবং কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। এরপর মুজিবনগরে স্থাপিত শেখ হাসিনা মঞ্চে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, যারা মুজিবনগর সরকারকে মানেনা তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, জামায়াত-বিএনপির নেতারা মুজিবনগর সরকারকে মানেনা। জিয়াউর রহমান, মুশতাক মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করতে চেয়েছিলো। তারা আবার বাংলাদেশকে দেউলিয়া করতে চায়। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা একসময় দেশকে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো। তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা কখনই ১৭ এপ্রিল পালন করেনা। অথচ তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। তারা ইতিহাসকে বিকৃত করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।-তথ্য বিবরনী