কালিগঞ্জ ব্যুরো \ কালীগঞ্জের মথুরেসপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সাংবাদিক তারিকুশ সারাফাত ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া পারভীন (২৪) দশদিন পূর্বে মোটরসাইকেলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই গৃহবধূকে শুক্রবার ২৮ মার্চ রাতে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। পরিবারের সদস্য জানান গত ১৯ মার্চ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ উদ্দেশ্যের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের সামনে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় আহত হন এককন্যা সন্তানের জননী সাদিয়া পারভীন। দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামে গোলাম মোস্তফার মেয়ে এবং কালিগঞ্জ উপজেলা মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সাংবাদিক, ব্যবসায়ী তারিকুশ শারাফাত ইসলামের স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে ২৮মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাদিয়া পারভীনকে শনিবার বাদ জোহর দেবহাটার হাদিপুর গ্রামের পিতার বাড়িতে জানাজা শেষে দাফনসম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া দেবহাটা উপজেলার টাউন শ্রীপুর গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জিসান (১৬) পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। সাদিয়া পারভীনের মৃত্যুর বিষয়টি কালিগঞ্জ থানা নিশ্চিত করে। এদিকে বকাটে জিসানের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সাদিয়া ইসলামের মৃত্যুতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ। এদিকে সাংবাদিক তারিকুশ সালাফাতের স্ত্রীর হত্যায় জড়িত জিসানকে আনতিবিলম্ব গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানানোর পাশাপাশি সড়কের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল সহ সকল অবৈধ যানবাহন চালানোর এবং গতি নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।