এফএনএস স্পোর্টস: দিনভর জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গেই সময় কাটালেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। দুপুরে টিম হোটেলে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সভা করেছেন। এটাকে আনুষ্ঠানিক কোনো সভা বলছেন না তিনি। দেখা করে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার জন্য যাওয়া। হোটেলে গিয়ে সাফ নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশ দল আগামী অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলবে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন সেই ম্যাচেও বোনাস থাকবে। ফুটবলারদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকালে অনুশীলন মাঠে গিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি। ফুটবলাররা জার্সি-প্যান্ট পরে, চেয়ারে বসে বুটের ফিতা বেঁধে একে একে মাঠে নামছিলেন। সেখানেই ম্যানেজার আমের খানের সঙ্গে বসা ছিলেন সালাহউদ্দিন। মোরসালিনকে দেখে ডাক দিলেন। তরুণ ফুটবলার ভারতের অনুষ্ঠিত সাফে এবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে মাঠে নেমেই দুই মিনিটে একটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও মোরসালিন গোল করতে পারেনি। ৬ গজের ভেতরে দাঁড়িয়ে কুয়েতের জালে বল ঠেলে দিতে পারেননি। সালাহউদ্দিন দেখাচ্ছিলেন তুমি যে সুযোগটা পেয়েছিলে সেটি কীভাবে গোল করতে পারতে। তখন সেই মুহূর্তে কি করা দরকার ছিল তা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। ম্যানেজার আমের খানও বাফুফে সভাপতির কথাগুলো সহজ করে বুঝিয়ে দিলেন মোরসালিনকে। সুবোধ বালক কিংবা শ্রেণি কক্ষের অনুগত ছাত্রের মতো মোরসালিনও মাথাটা নিচু করে মনযোগ দিয়ে বাফুফে সভাপতির কথাগুলো মন দিয়ে শুনছিলেন। মোরসালিন মাথা নাড়ানো, চোখে মুখে আফসোসের ভাষায় ফুটে উঠল সেদিন কত বড় ভুল হয়ে গেছে, সেই গোলটা হয়ে গেলে ফাইনালটা খেলে আসতে পারত বাংলাদেশ। কিছুই বলতে পারলেন না সদ্য এইচএসসি পাশ করা ১৮ বছর বয়সের ফুটবলার মোরসালিন। কিছুক্ষণ পরই সালাহউদ্দিন ডাকলেন সাদউদ্দিনকে। তাকে ডেকে তার পজিশন নিয়ে কথা বললেন। সালাহউদ্দিনকে বেশ ফুরফুরে দেখাচ্ছিল। মাঠে গিয়ে নিজেকে সরিয়ে না রেখে আমের খানের সঙ্গে খুব গল্প করছিলেন। এমন সময় হাজির হলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। ট্র্যাকসুট পরে এসেছেন। ততক্ষণে অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে। ডান দিক থেকে একটা আক্রমণ দেখে ফাহিমকে ডেকে ভুলটা ধরিয়ে দিলেন। ফয়সাল হোসেন ফাহিমও বাফুফে সভাপতির কথা জবাবে বলেন, ‘আমি আসলে বলটা ঐ দিকে দিতে চেয়েছিলাম, হয়নি-কথাটা বলেই খেলায় ছুটলেন ফাহিম।