এফএনএস স্পোর্টস: সাদামাটা শুরুর পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলল আবাহনী। শাকিল হোসেন খুলে দিলেন ডেডলক। এর একটু পরই পেনাল্টি মিস করলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পরে আর ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে শীর্ষে থাকা মোহামেডানের সাথে ব্যবধান কমাল আবাহনী। মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার রহমতগঞ্জকে ১-০ গোলে হারায় আবাহনী। লিগের প্রথম পর্ব আকাশি-নীল জার্সিধারীরা শেষ করল ৮ ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের চেয়ে মারুফুল হকের দল পিছিয়ে ৫ পয়েন্টে। দ্বিতীয় স্থানে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হলো রহমতগঞ্জের। ৮ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে আছে তারা। শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টার দেখা মিলছিল না কারো মধ্যে। দশম মিনিটে রহমতগঞ্জের সামনে একটা সুযোগ আসে, সেটাও আবাহনীর রক্ষণের ভুলে। বক্সের ভেতর থেকে মোহাম্মদ হৃদয় ব্যাক পাস বাড়ান গোলরক্ষকের উদ্দেশে, কিন্তু গতি ছিল না মোটেই। স্যামুয়েল বোয়াটেং ও তাজ উদ্দিন ছুটে গিয়ে বলের নাগাল পাওয়ার আগেই অবশ্য ক্লিয়ার করেন আবাহনী গোলকিপার মাহফুজ হাসান প্রীতম। ৩৫তম মিনিটে তাজ উদ্দিনের আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে ব্যাকহিল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বোয়াটেং; কিন্তু বলের সাথে সংযোগ করতে পারেননি এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে একটু একটু করে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা আবাহনী প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে ৫৫তম মিনিটে। বাইলাইনের একটু ওপর থেকে সতীর্থের বাড়ানো কাট ব্যাক পেয়ে ছোট বক্সের ওপর থেকে উড়িয়ে মারেন মাহাদি ইউসুফ। কাক্সিক্ষত গোলের দেখা আবাহনী পেয়ে যায় ৬৮তম মিনিটে। ডান দিক থেকে আসা আসাদুজ্জামান বাবলুর ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেননি ডিফেন্ডাররা। কয়েক পা ঘুরে বল চলে যায় বক্সে অরক্ষিত শাকিলের কাছে; তার শট ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি মামুন আলিফ। ৭১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। তাজউদ্দিন বক্সে মাহাদিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পোস্টের বাইরে শট নিয়ে হতাশায় মুখ ঢাকেন ইব্রাহিম। স্পট কিক ঠেকাতে আগেই ডান দিকে সরে গিয়েছিলেন রহমতগঞ্জ গোলকিপার; বাঁ দিকে রাখলেই গোল পেতেন ইব্রাহিম, কিন্তু দোটানায় ভুগে তিনি মেরে বসেন বাইরে। যোগ করা সময়ে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কর্নারের সময় বক্সে অবস্থান করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আচমকাই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি। হাসান মুরাদ ও মাহমুদ ওশিকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে রেফারি পরিস্থিতি শান্ত করেন।