এফএনএস লাইফস্টাইল: একেক ধরনের রঙের খাবারের একেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে, যা সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এই গরমের সময় সুস্থ থাকতে রেইনবো ফুডের ব্যবহার যথাযথভাবে করতে হবে। কারণ বিভিন্ন ধরনের রঙের খাবারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। লাল রঙের খাবার : হার্ট ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে খেজুর, টমেটো, তরমুজ বীজ, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি লাল রঙের খাবার। এসব খাদ্যে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পর্যাপ্ত আয়রন, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। ফলে চোখের দৃষ্টি ভালো থাকে ও হার্টের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। হলুদ রঙের খাবার : ত্বকের সুস্থতায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর হলুদ রঙের খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। এ ধরনের কিছু খাবার হলো-পাকা কলা, আনারস, পাকা পেঁপে, হলুদ ক্যাপসিকাম, হলুদ রঙের লেবু, মিষ্টিকুমড়া, ডুমুর, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। হলুদ ফলমূল ও শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলস ইত্যাদি থাকে। কমলা রঙের খাবার : কমলা রঙের ফল ও শাক-সবজি যেমন : কমলা, মাল্টা, গাজর ইত্যাদিতে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্যারোটিন সরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয় কমলা রঙের ফল ও শাকসবজি। এসব খাবার খেলে চোখের পাশাপাশি শ্বসনতন্ত্র সুস্থ থাকে। সবুজ ও গাঢ় সবুজ রঙের খাবার : লেবু, শসা, সবুজ রঙের পেয়ারা, আপেল, তাজা শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে চাইলে পরিমিত পরিমাণে ভাতের সঙ্গে বেশি করে নানা রঙের সবজি ও সবুজ শাকের রেসিপি রাখতে পারেন মাছ কিংবা মাংসের পাশাপাশি। নীল ও বেগুনি রঙের খাবার : নীল ও বেগুনি রঙের শাক-সবজি ও ফলমূল রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে চান, তাঁদের জন্য নীল-বেগুনি রঙের ফলমূল ও শাক-সবজি দৈনিক খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে পারেন। সাদা রঙের খাবার : বিশুদ্ধ সাদা পানি, ডিম, দুধ, সাদা রঙের ফল ও সবজি যেমন শসা, নাশপাতি ইত্যাদি। বিশুদ্ধ পানি ছাড়া এই কাঠফাটা গরমের সময় এ দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এতে করে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। তাই শরীরকে যথাযথ হাইড্রেট রাখতে হলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হবে। পরামর্শ দিয়েছেন সামসুন নাহার স্মৃতি ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ান উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল উত্তরা, ঢাকা