স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদর দীর্ঘই এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদযাপন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাহে রমজান মানুষের সংযোম ও ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ,উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছিল। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার বেশিরভাগ ঈদের জামাত ঈদগাহ ময়দান আদায় করে মুসল্লিরা। সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় শহরের মুনজিতপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে সকাল সাড়ে ৮ টায় ২য় জামাতে নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা।ঈদ জামাতের পূর্বে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা দলে দলে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করে। ঈদ জামাতের পূর্বে জেলা বাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধাঃ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক বকুল, অতিঃ জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সরোয়ার হোসেন, অতিঃ জেলা প্রশাসক রাজস্ব কাজী আরিফুর রহমান, ক্রীয়া ব্যক্তিত্ব শেখ নিজাম উদ্দিন সহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ সকল শ্রেণী পেশার সদস্য এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন। এর পূর্বে ইমাম হাফেজ মোঃ জালাল উদ্দিন মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার ফজিলত ও রমজানের তাকওয়া উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। জামাত শেষে মুসুল্লিরা দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ও ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা মসজিদে কুবা ঈদের জামাত সকাল ৮টায়, শহরের পুলিশ লাইন জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, সাতক্ষীরা কালেক্টরেট মসজিদ সকাল ৭টায়, স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায়, মধুমোল্লার ডাঙ্গী জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, পলাশপোল গুড় পুকুর ঈদগাহ ময়দান সকাল ৭ টায় ১৫মিনিটে, সুলতানপুর ঈদগাহ সকাল সাড়ে ৭ টায়, দক্ষিন সুলতানপুর জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, সূলতানপুর ওমর ফারুক জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, রসুলপুর পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ সকাল ৮টায় সহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঈদুল ফিতরের আগের রাতে সরকারি ভবনসমূহ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোক সজ্জায়িত করা হয়। অপরদিকে হাসপাতাল, কারাগার,সরকারি শিশু সদন, আবাসন কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।