সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ খুলনা বিভাগে অভয়নগর উপজেলায় পুড়াখালী ঐতিহাসিক বাঁওড় শুকিয়ে ১৭৬০ বিঘা জমি চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এলাকার দুইজন ওমরা চোমরা ভোগদখল করছে। এলাকা বাসি বঞ্চিত, সবাই মিলে চাষাবাদ করলে অনেক খাদ্য শস্য উৎপাদন হতো। ১৯২০ দশকে নওয়াপাড়া বৈরব নদের পূর্ব ধারে চর পড়ে কিছু জমি বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেছিলো আর কিছু জমি গভীর বেশী জলকরে পরিনত হয়ে আছে। তাই এই চর দীপের পাসের জলকরের নাম নিধারন করা হয় পুড়াখালী বাওড় যার পরিমান ১৭৬০বিঘা। এই বাওড়ের চারপাশে হাজার হাজার মানুষের বসতি। এরা ১৯৭৫ সাল পযন্ত সবাই মাছ শীকার করে আসছিলো। ৮০ দশকের পর ইফাত কোঃ অভয়নগর উপজেলা থেকে বাওড়টি ৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে মৎস্য চাষ করে। ইফাত কোঃ এলাকার জনগণ কে মাছ শীকার করতে আটকাতে পারে নাই।অবশেষে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাওড় ছেড়ে চলে যায়। ৯০ দশকে রাজনৈতিক নেতার দখলে চলে যায় এই বাওড়। বিএনপির শাসন আমলে এলাকার পাতি নেতা কুদ্দুছ গাজী দখল করে খায়। আওয়ামী শাসন আমলে রহমান দখল করে এখনো বদি খাচ্ছে।এলাকার সবলোক বঞ্চিত। বর্তমান বাওড় শুকিয়ে চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এই পাতি নেতারা দখল না ছড়লে কেউ চাষ করতে সাহস পাচ্ছে না। বাওড়টি এক সমায় সোভাবর্ধনে লভনীয় দৃষ্টি ছিলো। পদ্ম ফুলের মিতালীতে অতিথি পাখির লুকোচুরি খেলা, বাওড়ের কোল ঘেঁসে শাপলা ফুলে ভরা কি অপরুপ দৃস্য ছিলো এই বাওড়ে।