এফএনএস: যশোরে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় করা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও গ্রেপ্তারদের কাছে থেকে অপহরণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৩), যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরালী মাঝেরপাড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে পিয়াস হাসান (২৪), নাভারণ রেল বাজার এলাকার আব্দুল মতলেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), গোগা গাজীবাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩০), রাজগঞ্জ পুটখালী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২), চৌগাছা উপজেলার জগদিশপুর গ্রামের হোসেন মোহাম্মদ গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪) ও যশোরে শহরের খড়কি বামনপাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৮)। গতকাল শুক্রবার যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, গত ১৬ মার্চ সোহাগ হোসেন ও হাবিবুর রহমান নামে দুই ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটি চাঁচড়া মোড়ে পৌঁছালে একদল অপহরণকারী ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীকে নামিয়ে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যান। পরে তাদের কাছে থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কেশবপুর থানা এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান তারা। পরে ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোরের টিম ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। এরপর ভিকটিমদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। সেইসঙ্গে তাদের কাছে থেকে চাঁদা আদায়ের আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ডিবির ওসি রুপন কুমার আরও জানান, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন যে তারা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় জড়িত। তারা আরও কোনো ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা হয়েছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোরের এসআই মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তদন্ত করছেন বলেও জানান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।