এফএনএস: সাড়ে তিন বছর আগের হত্যার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হলেন আশিকুর রহমান অপু (৩৫)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোর শহরের খালধার রোড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত অপু মিয়া খালধার রোড এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। অপুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর শহরের বড়বাজার মাছ বাজার এলাকায় পাপ্পু হোসেন বাবু (১৮) হত্যাকান্ডে অপু জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে পাল্টা এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। যশোর পুলিশের মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক রূপণ কুমার সরকার জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপু রিকশায় বড়বাজার যাওয়ার পথে আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপু মারা যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক তানভীর আহম্মেদ জানান, অপুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত রয়েছে। গলার অনেকাংশ কাটা। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর শহরের বড়বাজার মাছ বাজার এলাকায় হত্যাকান্ডের শিকার হন পাপ্পু হোসেন বাবু (১৮)। শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার জলিল উদ্দিনের ছেলে বাবু’র মাছ বাজারের পাশে মোবাইল ফোনের রিচার্জের দোকান ছিল। টাকা বাকি রাখা নিয়ে বিরোধে অপুসহ তার তিন সহযোগী ছুরিকাঘাত করে পাপ্পুকে হত্যা করেন।