ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ যশোর—খুলনা মহাসড়কে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বজলুর রহমান (৪০) নিহতর ঘটনায় ওই দিন রাতে কোতোয়ালি থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন নিহতের বড় ভাই যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রাজন আলী বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুর রহমান। সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার। মামলায় আসামি ট্রাকের চালক ঝিনেদা সদর উপজেলার হামদহ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে রাজন মিয়া ও হেলপার ঝিনেদা জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার চরপাড়া গ্রামের খয়বার আলীর ছেলে পলাশ হোসেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেন। এ সময় চালক ও হেলপার ধরা পড়েন। তাদেরকে রোববার দুুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলায় নিহতর বড় ভাই হাফিজুর বলেছেন, তার আপন ছোট ভাই বজলুর রহমান ব্যবসায়ীক কাজে তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল (যশোর ল—১৪—৭৪৮০) নিয়ে নিজ বাসা হতে রূপদিয়া বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় রুপদিয়া বাজার জনৈক গফুরের গ্যারেজের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে একটি বেপরোয়া গতি সম্পন্ন ট্রাক (ঢাকা মেট্রো—ট—১৫—১৩২৪)—এর চালক রাজন মিয়া ও হেলপার পলাশ হোসেন দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বজলুর রহমানের মোটরসাইকেলের পিছনের দিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন গাড়ি চাপা দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ও দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ট্রাকসহ চালক রাজন মিয়া ও হেলপার পলাশ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।