কেশবপুর ব্যুরো ॥ সর্বকনিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কেশবপুরের টিপু সুলতান (২৬)। তিনি যশোর জেলা পরিষদের কেশবপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছে মো:টিপু সুলতান। উপজেলায় সাবদিয়া গ্রামের মো:বাবলু গাজীর ছেলে, পেশায় একজন ছাত্র লীগ নেতা। যশোর জেলা পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডে ৯ই মার্চ ২০২৪ ইং, উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে ৮ নম্বর কেশবপুর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের উপনির্বাচনে যুবলীগ নেতা টিপু সুলতান (হাতি প্রতীক) ৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহেনা খাতুন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৫১ ভোট। শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ওই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৫৯ জন। এর ভেতর ১৫৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ উপনির্বাচনে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। অন্যদের ভেতর আব্বাস আলী (টিউবওয়েল) ২৮ ভোট, জাকির হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা) ৩ ভোট ও আলতাফ হোসেন বিশ্বাস (উটপাখি) ২ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা অফিসার আব্দুর রব বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম সব থেকে কম বয়সের সদস্য, তিনি বাংলাদেশের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ,মাত্র ২৬ বছর বয়সে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন টিপু সুলতান কেশবপুর উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৯৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন টিপু সুলতান। সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন টিপু সুলতান। সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন সর্বকনিষ্ঠ ওই জেলা পরিষদ সদস্য। জনগণের চাপে সদ্য সমাপ্ত যশোর জেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টিপু সুলতান। সেই নির্বাচনে ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে যশোর জেলা পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তিনি।নবনির্বাচিত যশোর জেলা পরিষদ সদস্য টিপু সুলতান সাংবাদিক দেরকে বলেন, জনগণের সেবা করতে বয়সে কোনো বাঁধা নয়। প্রয়োজন জনসেবার মানসিকতা। সুন্দর সমাজ গঠন আর কেশবপুর উপজেলাকে আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, ও শিক্ষা শেখ যশোর জেলা পরিষদের ৮ নম্বর কেশবপুর ওয়ার্ডে সদস্য ছিলেন আজিজুল ইসলাম। তিনি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে জেলা পরিষদের এ জেলা পরিষদের সদস্য পদের ওয়ার্ডটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।