বর্তমান সময়ে যানজট এক ধরনের মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় যানজটের কল্যানে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষ অস্থিরতা বাড়িয়েছে। দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে সাতক্ষীরার পরিচিতির শেষ নেই। বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরা শহর যানজটের শহর হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা বিদ্যমান, প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে যানজট মুক্ত শহেরর জন্য কাজ করলেও শহরের যেখানে সেখানে মাইক্রো রাখা, ট্রাক রাখা, শহরের সংযোগ সড়ক গুলোতে মালবাহি মিনিট্রাক, কথিত ইঞ্জিনভ্যান, নছিমন, করিমনের অবাধ উপস্থিতি শহরকে যানজটে পরিনত করছে। একই সাথে ভাঙ্গা, খানা খোন্দকময় সড়কে যানবাহন থামায় যে কারনে ও যানজট থেমে নেই। শহরের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন যাবৎ মাইকিং জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। পোল্ট্রি মুরগী হতে শুরু করে ডাক্তার আর পণ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপন অহরহ মাইকে প্রচার চলছে। প্রতিনিয়ত মাইকিং আবাসীক জীবন যাপন কেও অতিষ্ট করে তুলছে। হাইড্রোলিক্স হর্ণ এর বিকট আর অসয্য শব্দ যে কোন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে। অথচ আইনগত ভাবে যানবাহনে হাইড্রোলিক্স হর্ণ বাজানো নিষেধ। সাতক্ষীরার অন্যতম আকর্ষন সুন্দরবন এবং দেশের একমাত্র জেলা সাতক্ষীরা যে জেলা দিয়ে সড়ক পথে সুন্দরবন যাওয়া সম্ভব। দেশের অন্যতম স্থল বন্দর ভোমরা সাতক্ষীরা জেলাতে অবস্থিত। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমনে আসছে। আগত পর্যটকরা খানা খোন্দকময় সড়ক এবং যানজটের কবলে পড়ছে। শহরের খুলনা রোড, নিউমার্কেট এলাকা, বাজার মোড়, তুফান ব্রীজ এলাকা, বড় বাজার, পাকাপুল সড়ক প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে। পরিস্থিতি মাঝে মাঝে এমন পর্যায়ে যায় যে রোগী বহনকরা এ্যাম্বুলেন্স গুলোও যানজটের কবলে পড়ে। সাতক্ষীরা শহরবাসি তথা জেলাবাসি খানা খোন্দকময় যানজট মুক্ত এবং বিকটশব্দহীন শহর প্রত্যাশা করে।