##‘সচিব’ পদ বিলুপ্ত হয়ে নির্বাহী পরিচালক ## বিলুপ্ত হচ্ছে দুইজন এমপি থাকার বিধান
জি এম শাহনেওয়াজ, ঢাকা থেকে \ যুগোপযোগী করা হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনকে। ট্রাস্টের কার্যক্রমকে সহজে পরিচালনার স্বার্থে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এই আইনে ‘সচিব’ পদটির পরিবর্তে নির্বাহী পরিচালক এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য, যাহারা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হইবেন বিদ্যমান আইনের এই ধারাটি বিলুপ্ত করা হবে। এ ধরণের বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান বলেন, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনটির কিছু ধারা পরিবর্তনের জন্য অনেকদিন ধরে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু ও সময় ও বাস্তবতার নিরীখে – সেটা সম্ভব হচ্ছি না। গত বছরের শেষের দিকে কিছু পদ ও আইনি বিধানের জটিলতায় কাজে বিঘœ ঘটছিল। তাই ট্রাস্টটির কাজকে সহজে যাতে পরিচালিত হয়, – সেজন্য কিছু বিধান সংযোজন ও বিয়োজন করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যয়, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য ট্রাস্টি বোর্ড পুন:বিন্যাসের প্রস্তাব করা হয়। বলা হয়, সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানের পদে তাঁদের সম্প্রদায় থেকে সিনিয়ন দুইজন না হলে নূন্যতম একজনকে রাখা। সব সময় এ সম্প্রদায় থেকে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই ট্রাস্টির সকল কার্যক্রম সূচারুভাবে যাতে চলতে পারে সেজন্য অন্য সম্প্রদায়ের সদস্য রাখার জন্য খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এসব প্রস্তাবের আলোকে গত ১২ ডিসেম্বর ট্রাস্টি বোর্ডের ২২তম সভায় আইনটিতে কি ধরণের সংশোধনী আনা হলে এটি সহজে পরিচালিত হবে সে সংক্রান্ত বিধান যুক্ত করে প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী যিনি ট্রাস্টির চেয়ারম্যান হবেন ‘প্রতিমন্ত্রী’ এই শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার মনোনীত দুই জন এমপি, যাহার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানও হইবেন এই বিধানটি প্রস্তাবিত আইনে বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এমপি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সরকারের মনোনীত ১০জন ট্রাস্টি রাখার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এমপি মনোনয়নের বিষয়টি স্পিকারকে অবহিত করতে হবে। আইনের ৩ উপধারা(১)এর অধীন মনোনীত ট্রাস্টিগণের মধ্য থেকে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীতি বিধানে সংশোধন এনে একজন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সংযোজন করা হয়েছে এবং বিদ্যমান একজন ভাইস চেয়ারম্যান যিনি আছেন সেটা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনের ৭(৩) ধারায় চেয়ারম্যান বোর্ডের সব সভায় সভাপতিত্বে করবেন এটা বিদ্যমান আইনে বলা আছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং তারও অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ট্রাস্টি সভাপতিত্ব করবেন এ ধরণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আর নির্বাহী পরিচালকের পদ শূন্য কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে নির্বাহী পরিচালক তাহার দায়িত্বে পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা নির্বাহী পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক মনোনীত কোনো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাধিত শর্তে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।