এফএনএস স্পোর্টস: ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছেন আরেক জন, চক্র ঘুরে আসা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কা- এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে মেলে ধরা সহজ নয়। জায়গা নিয়ে লড়াইয়ের তীব্র চাপের মুখে ভেঙে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। চন্দিকা হাথুরুসিংহে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ওয়ানডে দলে টিকে থাকতে হলে এই পরীক্ষাতেও জিততে হবে তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদের। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ওয়ানডেতে তৃতীয় স্পিনারের দৌড়ে তাইজুল ও নাসুমের লড়াই চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। গত কয়েক সিরিজ ধরে অদল বদল করে খেলানো হচ্ছে তাদের। আগেই জানান হয়েছে, আসন্ন বিশ্বকাপ পর্যন্ত এটি চলবে। তবে দুজনের জন্যই থাকছে অভিন্ন বার্তা। চাপের মুখে দেখাতে হবে দৃঢ়তা। চাপ সামলে দলের চাহিদা মেটাতে পারলেই হয়তো খুলবে বিশ্বকাপের দরজা। গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দলে ছিলেন নাসুম। বিপিএলের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার জায়গায় নেওয়া হয় তাইজুলকে। পরের সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষে আবার আনা হয় নাসুমকে, বাইরে যান তাইজুল। এবার ইংল্যান্ড সফরের আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে নাসুমের বদলে এসেছেন তাইজুল। ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সিরিজে তিন ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পান নাসুম। ওভারপ্রতি ৫.১৪ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ইংল্যান্ড সিরিজের তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ৫ রান দিয়ে তাইজুল ধরেন ৬ শিকার। তবু পরের সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তার। ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে খেলেন নাসুম। ওই সিরিজে ভালো বোলিং করলেও বিদেশ সফরে পরের সিরিজে থাকছেন না সিলেটের এই স্পিনার। আগামী মাসে আইরিশদের বিপক্ষে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজটি খেলতে যাওয়ার আগে সিলেটে তিন দিনের বিশেষ ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার ক্যাম্পের শেষ দিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন হাথুরুসিংহে। অনেক কথার ভিড়ে তাইজুল ও নাসুমের জন্য পরিষ্কার বার্তা দেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। “(নাসুম-তাইজুলের অদল বদলের কারণ) আমরা যেমন আলোচনা করেছি, আমরা আমাদের স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এটি (অদল বদল) চলতে থাকবে।” অনেক সময় পারফর্ম করতে থাকা কোনো ক্রিকেটারকে দলের বাইরে রাখা হলে পারফরম্যান্সে ছেদ পড়ে, মানসিকতায়ও প্রভাব পড়তে দেখা যায়। তাইজুল ও নাসুমের ক্ষেত্রে তেমন কিছুর কোনো শঙ্কা দেখেন না প্রধান কোচ। বরং হাথুরুসিংহের মতে, তেমন কিছু হলেই সত্যিকারের পরীক্ষায় পড়বেন দুই স্পিনার। তখনই বোঝা যাবে, চাপ জয় করে কে পারেন দলে নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে। “(এটি তাদের ওপর) কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ তাদের সঙ্গে যথেষ্ট কথা হয়েছে। আমরা তাদের ব্যাখ্যা করেছি কেন তারা আছে, কেন নেই। আশা করি, প্রভাব ফেলবে না। যদি প্রভাব ফেলে, তাহলে এটা চাপের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলবে। ওই ধরনের ক্রিকেটার আমরা দলে চাই না।” তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সোমবার রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। গত শুক্রবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। এরপর চেমসফোর্ডে ৯, ১২ ও ১৪ মে হবে তিন ওয়ানডে।