এফএনএস: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগে ২৪—এর গণহত্যার বিচার, তারপর অন্য কাজ। গণহত্যার বিচার না হলে শহীদদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। আজকে যারা মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ কেবল শুরু। দেশে ন্যায়বিচার, সুশাসন, সমাজ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর এবং মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে না ওঠা পর্যন্ত আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল এখনও আছে। তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জামায়াতের কোনও নেতাকর্মী দখলবাজি—চাঁদাবাজি করেছে বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। এসব অপকর্মের সঙ্গে আমার সহকর্মীরা জড়িত নয়। মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশে দখলবাজি—চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, দেশে মেজরিটি—মাইনরিটি বলে যুগযুগ ধরে মানুষের ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাদের সম্পদ লুট হয়েছে, ইজ্জতের ওপর হামলা করা হয়েছে। কারও কারও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এসবের জন্য সবসময় দোষ চাপানো হয়েছে জামায়াতের ওপর। অথচ এসবে আমরা জড়িত ছিলাম না। তিনি বলেন, দেশে মেজরিটি—মাইনরিটি বলে কিছু নেই। ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার। ইসলাম ধর্ম কারও ওপর জোর খাটানোর অধিকার রাখে না। অন্য ধর্মও কোনও ধর্মের ওপর জোর খাটানোর অধিকার রাখে না। এদেশে আমরা সবাই ভাই ভাই হয়ে থাকবো। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সরকার ছিল না, পুলিশ ছিল না। কেউ কাজ করেনি। তখন জামায়াত অন্যান্য ইসলামি দলকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। দেশের মানুষের জানমাল পাহারা দিয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও পাহারা দিয়েছি আমরা। এর আগে সকাল ৯টায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে এ সম্মেলন শুরু হয়। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ আনোয়ারির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীসহ দলের শীর্ষ নেতারা।