এফএনএস বিদেশ : ইলেক্ট্রিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে চীনের অগ্রগতি অন্যান্যের থেকে অনেক বেশি। পশ্চিমাদের বিলিয়ন বিলিয়ন বিনিয়োগ সত্তে¡ও চীন এখানে এতটাই এগিয়ে রয়েছে যে, বিশ্বের বাকি দেশগুলোর ঐ পর্যায়ে পৌছতে কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। ইলেক্ট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। এই ব্যটারির উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল পাওয়া থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপকে চীন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা এখানে তুলে ধরা হল:
খনন: চীন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিরল খনিজগুলির যোগান দিতে একটি স্বল্প ব্যয়ের এবং নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের পথ তৈরি করেছে। বিশ্বের ৪১ শতাংশ কোবাল্ট নিয়ন্ত্রণ করে চীন। এর বেশিরভাগই গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের খনি থেকে আসে। যে খনিগুলোর মালিক চীনা বিনিয়োগকারীরা। একটি কনসাল্টিং সংস্থার রিপোর্ট মতে, ইন্দোনেশিয়ার কোবাল্ট খনিতে চীনা বিনিয়োগ ২০২৭ সালের মধ্যে চীনকে নিকেলের বৃহত্তম নিয়ন্ত্রক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
পরিশোধন: সারা বিশ্বে যারাই খনি খনন করুক না কেন, প্রায় সবকিছুই পরিশোধনের জন্য পাঠানো হয় চীনে। সরকারের কম খরচে বিদ্যুৎ এবং জায়গা সহযোগিতা নিয়ে চীনা কোম্পানীগুলো এসব খনিজ বৃহৎ পরিসরে এবং খুব কম খরচে পরিশোধন করে দিতে পারে।
উপাদান: একটি ব্যাটারি তৈরিতে প্রয়োজন এমন বেশিরভাগ উপাদান (খনিজ এবং যন্ত্রাংশ) নিজেরাই তৈরি করে চীন। এর ফলে খরচ অনেক কমে যায় যা ব্যাটারির জন্য একটি ইতিবাচক টার্মিনাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে চীনকে। বিশ্বের ব্যাটারি বাজারের অর্ধেকই এখন চীনের হাতে।
সংযোজন: চীন যেমন সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি তৈরি করে তেমনি সবচেয়ে বেশি গাড়িও তৈরি করে তারা। শ্রমিক খরচ কম এবং প্রায় সব যন্ত্রপাতি নিজেরাই প্রস্তুত করায় চীন উত্তর আমেরিকা বা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রায় অর্ধেক খরচে ব্যাটারি কারখানা তৈরি করতে পারে। তাই ভবিষ্যত যানবাহন তৈরি শিল্পে রাজত্ব চীনের হাতেই থাকছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস