মৌসুমটা খালি হাতেই শেষ করতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। তবে গত শনিবার এফএ কাপের ফাইনালে ভিন্ন কিছুও হতে পারত। যদি সিটির ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ পেনাল্টি মিস না করতেন। মিশরীয় ফরোয়ার্ড মিস করায় সিটির সমতায় ফেরার সুযোগটা হাতছাড়া হয়। এতে ১—০ ব্যবধানে জিতে শিরোপার দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরায় ক্রিস্টাল প্যালেস। ফরোয়ার্ড এবাররেচি এজের জয়সূচক গোলে ১১৯ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার কোনো মেজর শিরোপা জিতেছে ঈগল ডাকে নামে খ্যাত ইংলিশ ক্লাবটি। তার ১৬ মিনিটের গোলের বিপরীতে ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল সিটি। মারমুশ স্পটকিকটি নিলে সেভ করে দেন ক্রিস্টাল প্যালেসের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। অথচ, পেনাল্টি কিকটা নেওয়ার কথা ছিল আর্লিং হালান্ডের। শুরুতে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার বলও হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কী কারণে যেন পেনাল্টিটা তিনি না নিয়ে মারমুশকে দিলেন। আর তাতে শেষ পর্যন্ত কপালও পুড়ল সিটির। হালান্ড কেন নেননি তা জানা না গেলেও ওয়েইন রুনি একটা যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। যুক্তিটা হালান্ডের জন্য কিছুটা বিব্রতকর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘সাধারণত হালান্ড যখন (গোল মিস করা) সুযোগ হাতছাড়া করে তখন তার চেহারার দিকে তাকাবেন, তাতে দেখবেন একটা প্রভাব পড়েছে। এ কারণেই হতে পারে ওয়েম্বলির মতো মাঠে পেনাল্টি নেওয়ার চিন্তাটা তার ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে। জানা তো যায় না, তবে সেও তো মানুষ।’ এমন সব কঠিন মুহূর্তে লিওনেল মেসি—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা সবার থেকে আলাদা বলে মনে করেন রুনি। তিনি বলেছেন, ‘হালান্ডও বিশ^সেরা একজন ফরোয়ার্ড। কিন্তু যখন আমরা মেসি ও রোনালদোকে নিয়ে আলোচনা করব তখন দেখবেন তারা কখনোই অন্যকে বল দিয়ে দেয় না। এই দুজনের সঙ্গে হালান্ড—কিলিয়ান এমবাপ্পেদের মতো খেলোয়াড়দের পার্থক্য এখানেই। তারা মেসি—রোনালদো) প্রত্যেক ম্যাচে গোল করতে মরিয়া থাকে।’ এ মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩০ গোল করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হালান্ড হলেও সাত পেনাল্টি নিয়ে ৩টিতেই গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ওয়েম্বলিতে খেলা সর্বশেষ ৬ ম্যাচে জালের দেখা পাননি তিনি। সঙ্গে চোট কাটিয়ে ফেরার চাপটাও হয়তো ছিল। যার কারণেই হয়তো শেষ মুহূর্তে নিজে না নিয়ে মারমুশকে পেনাল্টি কিক নিতে দেন হালান্ড।