এফএনএস স্পোর্টস: গতবার রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জেতা লিওনেল মেসি এবার ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেই নেই! কেবল বিস্ময় নয়, আর্জেন্টাইন তারকার না থাকা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এ ইস্যুতে ব্যাখ্যাও দিয়েছে ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল। সময়ের সেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে মেসির দীর্ঘদিনের একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ঠিকই আছেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়। কিন্তু জায়গা হয়নি মেসির; ১৭ বছরের মধ্যে যা প্রথম। মেসি ভক্তরা তাই ভীষণ চটেছে। তাদের প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল। পিএসজিতে মেসির প্রথম বছরটা মোটেও ভালো কাটেনি। ৩৪ ম্যাচে করেন কেবল ১১ গোল, অ্যাসিস্টের সংখ্যা ১৫টি। তার মানের তুলনায় এই পরিসংখ্যান বড্ড বিবর্ণ। ফ্রান্স ফুটবলের ব্যাখ্যায়ও গত মৌসুমে মেসির পারফরম্যান্সের মলিনতা তুলে ধরা হয়েছে। “অবশ্যই, ২০০৬ সাল থেকে টানা ১৫ বার এই তালিকায় লিওনেল মেসির উপস্থিতি, সাতবার তার ব্যালন ডি’অর জয়, তার খেতাবের মর্যাদা, তালিকা চ‚ড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তার এই বিষয়গুলো ভালোভাবেই আলোচনায় ছিল। ৩০ জন চ‚ড়ান্ত করার সময় মেসিও আলোচনায় ছিল, কিন্তু ব্যালন ডি’অরের নতুন মানদন্ড তার পক্ষে ছিল না। “নতুন নিয়মে পুরো বছর নয়, একটি মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে। যে কারণে ২০২১ সালের ১১ জুলাই তার কোপা আমেরিকা জয় বিবেচনায় আসেনি। এবং এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, পরিসংখ্যান এবং খেলা দেখার সৌন্দর্য বিচারে প্যারিসে তার প্রথম মৌসুমটা খুবই বাজে কেটেছে।” ইংল্যান্ডে ফিরে রোনালদোর সময়টা যে খুব ভালো কেটেছে, তা নয়। তারপরও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের থাকার কারণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল। “পরিসংখ্যান ভিন্ন কথা বলছে। এই মৌসুমে জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে সে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্র“প পর্বে তিনি ছিলেন ম্যাচ নির্ণায়ক। তার ৪ গোলের সুবাদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭ পয়েন্ট পেয়েছিল।” “প্রিমিয়ার লিগে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ১৮ গোল করেন রোনালদো। ৪৯ ম্যাচে ৩২ গোল- যদিও সেটা তার সেরা মৌসুম না, কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের ৩০ জন সেরার তালিকায় থাকার জন্য যথেষ্ট।”