এফএনএস এক্সক্লুসিভ: রপ্তানি পণ্য হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষিপণ্য। চলতি ২০২৪—২৫ অর্থবছর শেষে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি আয় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষিপণ্য রপ্তানি বিগত ২০২০—২১ এবং ২০২১—২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বিলিয়ন ডলার আয় করে। তবে পরের ২০২২—২৩ এবং ২০২৩—২৪ অর্থবছরে কমে যায় কৃষি পণ্যের রপ্তানি। ২০২০—২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য রপ্তানি আয় হয়েছিল ১২৮ কোটি ডলার। আর ২০২১—২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১১৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। পরবর্তী ২০২২—২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৮৩ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ডলারে নেমে আসে। আর ২০২৩—২৪ রপ্তানি আয় হয় ৯৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ লাখ ডলার। ফলে বিলিয়ন—ডলারের নিচে নেমে আসে রপ্তানি আয়। তবে ২০২৪—২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই—ডিসেম্বর) রপ্তানি আয় আবার আশার আলো দেখাচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে ওই খাতে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পরপর দুই অর্থবছরে রপ্তানি কমার পরে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই—ডিসেম্বর) উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত কৃষি ও খাদ্য পণ্যের রপ্তানি। ২০২৪—২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে সবজি, ফল, চা, মসলা এবং তামাকের মতো কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর আগের ২০২৩—২৪ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই—ডিসেম্বর) রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। মূলত ফল, চা, মসলা, তামাক এবং পশুর চর্বি রপ্তানি বেশি হওয়ায় সেখান থেকে আয় বেশি আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এটি ২০০৫ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে কৃষি রপ্তানির বৈশ্বিক মূল্য (মাছ বাদে) ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ছিলো। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজিত পণ্য থেকে আয় চলতি অর্থবছরে বিলিয়ন ডলারে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বিলিয়ন—ডলার উপার্জনে কৃষি পণ্য রপ্তানির পুনঃপ্রবেশ দেশের অত্যধিক প্রয়োজন। ফলে আশা করা যায়, তৈরি পোশাকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমে আসবে। পোশাক খাত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জন্য একক বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী, যা মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে রেখেছে।