দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ গুজব গুজবই! গুজবের সত্যতা বা বাস্তবতা সুদুর পরাহত তবুও গুজবের শেষ নেই। দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় গুজব নামক অসত্য, মিথ্যা, বেসতি চলমান, অতি স¤প্রতি দেশের অভ্যন্তরে এক ধরনের গুজবের ডাল পালার বিস্তৃত ঘটে। পরিস্থিতি এতটুকু সম্মুখ পানে নেয় যে স্পর্শকাতর বিষয়াবলীকেও স্পর্শ করে গুজব ছড়াতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গুজব রটনাকারীরা মোখ্যম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। বিশেষ করে জরুরী অবস্থা জারীর গুজবটি ব্যাপকভাবে প্রচার পায়। সেই সাথে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। ফ্যাস্টিট শেখ হাসিনা দেশে আসছে, আবার অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ভয়েস রেকর্ড নকল করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রচারনা করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো দিন শেষে দেখা যায় সবই গুজব। কিন্তু কেন এই গুজব? সরকারকে বিভ্রান্ত করণে বা দেশের আইন শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতাকে খর্ব করতেই এই গুজব বিশেষভাবে প্রতিবেশী দেশের একাধিক গণমাধ্যম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে গুজব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। গত ৫ আগস্ট পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুসের সরকার যখন আইন শৃঙ্খলা তথা দেশের সামগ্রীক পরিস্থিতি উন্নয়নে তৎপর তখন বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাল্পনিক চিত্র। পরবর্তীতে দেশী বিদেশী সংস্থা সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তদন্ত করে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। দেশে সর্বাপেক্ষা গুজবের ডালপালা ছড়িয়ে পড়ে জরুরী অবস্থা জারির বিষয়ে। দেশে সরকার সফলভাবে কাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা নেই। বর্তমানে রমজান মাসের পবিত্র রোজা অতিবাহিত করছে দেশের মানুষ, ইতিমধ্যে ঈদ বাজার জমজমাট হয়েছে। ঈদ প্রস্তুতিতে দেশবাসি। সর্বত্র স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। বিধায় জরুরী অবস্থা জারীর সামান্যতম পরিস্থিতির অবকাশ নেই অথচ গুজবে গুজবে সয়লাব যে দেশে জরুরী অবস্থা জারি হচ্ছে। এই মূহুর্তে যে বিষয়টি বিশেষভাবে জরুরী তা হলো গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করা এরা নিশ্চই ফাসিস্ট এর সহযোগি। স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি গত সোমবার বলেছেন দেশে জরুরী অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তাই জরুরী অবস্থা জারির বিষয়টি গমিপ। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশাক্সক্ষার কোন তথ্য নেই। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। সরকার সতর্ক আছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং সেটা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। গত রবিবার রাতটি ছিল গুজবের দখলে, পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব নির্ভর বিভিন্ন পোস্ট দিতে থাকে। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনও পোস্ট দিতে থাকে সহসা সুখবর আসছে। দলীয় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। জরুরী অবস্থা জারীর পাশাপাশি বিশেষ গুজব ছিল হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টকে কেন্দ্র করে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিভিন্নমুখি কথামালা, বক্তব্যকে ঘিরে যা সবই ছিল গুজব। আওয়ামী সমালোচক হিসেবে পরিচিত কনক সরওয়ারের একটি ভিডিও প্রকাশের পর থেকে জরুরী অবস্থা জারির বিষয়টি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হতে থাকে। কিন্তু তিনি তার ভিডিওতে কোথাও বলেনি যে জরুরী অবস্থা জারী হবে। সোমবার সকাল হতে ক্রমান্বয়ে নানামুখি বিভ্রান্তিকর গুজবের মৃত্যু হতে থাকে। জরুরী অবস্থা জারি হইনি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামান্যতম অবনতি হইনি। সরকার যথা নিয়মে দেশ পরিচালনা করছে। এমনও গুজব ছড়িয়ে পড়ে পতিত আওয়ামী লীগ আবারও পুনগঠন হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে জনমানুষকে বিভ্রান্তি করণের ক্ষেত্রে গুজব একটি ভয়ানক অস্ত্র তবে শেষ পর্যন্ত গুজব যে গুজবই, মিথ্যা এবং অবাস্তব তা প্রমাণ হয় এবারও হয়েছে। গুজব ছড়ানো চক্র নিশ্চিত সরকার বিরোধী দেশের স্বার্থ বিরোধী অংশ এবং পরাজিত, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের সমর্থকপুষ্ট। আর তারই গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করাই এবং আইনের আওতায় আনা জরুরী।