দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের সংকটের পর এবার পাকা কলার সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধির ঝাজ ছড়িয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা শহর সহ মফস্বল এলাকাগুলোতে বর্তমান সময়ে কলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০—৮০ টাকায়। চাপা সবরি কলাই বাজার দৃশ্যত: দখল করে আছে। সারা বছর চাপা এবং সাগর কলার উপস্থিতি এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকলে বর্তমান বাজার মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সাধারণত চাপা সবরি (পাকা) কলা কেজি প্রতি ২০/২৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে একই ভাবে সাগর কলা ২০/৩০ টাকার মধ্যে থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কলার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্র বিস্তৃত করছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। দৃষ্টিপাতের অনুসন্ধানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিষয়টি এভাবে দেখা মিলেছে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এলাকা হতে ট্রাক কি ট্রাক ভর্তি কলা সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা পাইকারীভাবে আনলেও গোডাউন গুলোতে রেখেছে কোন কোন ব্যবসায়ী, পূর্বেকার সময়গুলোতে হাটবাজারে যেভাবে পাকা কলার উপস্থিতি দেখা যেতো রোজা শুরুর দুই তিন দিন পূর্ব হতে সরবরাহ কমে আসে। ২৫/৩০ টাকার চাপা ও সাগর কলা ৭০/৮০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে থাকে। সাতক্ষীরা শহরের পাকাপুল, হাটের মোড়, সার্কিট হাউজ চত্বর, খুলনা রোড, বড় বাজার, বৌ বাজার সহ বাজারগুলোতে পূর্বের অপেক্ষায় পাকা কলার উপস্থিতি কম। পাইকার কলা ব্যবসায়ীরা মূল্য এবং চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে কলা বাজারজাত করছে। তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা গেছে সচরাচর কলা পাকানোর কৃত্রিম পদ্ধতিগুলো বর্তমান সময়ে কম ব্যবহার করছে কারণ মওজুদ করা কলা দেরীতে পাকলে সুবিধা। রোজার দিন গুলোতে সিহরী ও ইফতারের সময়ে কলার চাহিদা বেশী থাকে। খেজুর, ছোলা, খিরা সহ অপরাপর রোজা ও ইফতারী উপকরণের মূল্য সহনীয়। কলার বাজার মনিটরিং এবং মওজুদকারী ও সিন্ডিকেট চক্রের বিষয়ে তদন্ত জরুরী। কলা বাজার উর্ধমুখি করনের ক্ষেত্রে যদি সিন্ডিকেট বা মওজুদ চক্রের কারসাজি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে হবে।