এফএনএস: রাজধানীর ভাটারা, হাজারীবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থেকে পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুসহ পাঁচ জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাশগুলো হলোÍ চকবাজার থেকে ওয়ার্কশপ শ্রমিক মো. রাকিব (১৯) ও ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ আলী নয়ন (২৪), কামরাঙ্গীরচর থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থী সারিকা হোসেন নাবিলা (১৩), ভাটারা থেকে রিকশাচালক ইউনুস আলী (৩৩) এবং হাজারীবাগ থেকে গৃহবধূ রুপা আক্তার (২৬)। হাজারীবাগ রায়ের বাজার সুলতানগঞ্জ রোডে বাসায় পর্তুগাল প্রবাসী নাজমুল হোসেনের স্ত্রী রুপা বেগম (২৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। হাজারীবাগ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গৃহবধূ রুপা নিজের ঘরের থেকে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি। এদিকে কামরাঙ্গীচর থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খালপাড় অটোস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সারিকা হোসেন লাবিবার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তিনি একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। সেখানে তার লেখাপড়া ভালো লাগতো না। এ কারণে তার বাবা রাগারাগি করতেন। পরে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। সারিকা মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কু—কুটিয়া গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে রাজধানীর চকবাজার থানার এসআই মো. কাউছার বলেন, গত সোমবার মধ্যরাতে খবর পেয়ে হোসনিদালান রোডের ছয়তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাজ্জাদ আলী নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তিনি সিনেমা ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। তবে কী কারণে তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ভাটারা থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ভাটারার নূরেরচালা এলাকার নাসির উদ্দিনের টিনশেডের বাসা থেকে রিকশা চালক ইউনুস আলীর (৫৭) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সোহারী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ইউনুস আলী। এছাড়াও একইদিনে মধ্যরাতে চকবাজার এলাকা একটি বাসা থেকে ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় রাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চকবাজার থানার এসআই জিল্লুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার ও তার আত্মীয়—স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, নিহত রাকিব একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন। প্রায় সময়ই তিনি আনমনা হয়ে চলাফেরা করতেন। নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার ছন্নারমোড় গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রাকিব।