এফএনএস স্পোর্টস: বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে প্রথমবার একাদশে সুযোগ, সেটিও আবার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো মহীরুহের বদলে। চাপ থাকার কথা ছিল প্রবল। কিন্তু সব চাপকে উড়িয়ে গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন গনসালো রামোস। তার দিকে বড় ক্লাবের নজর পড়া স্বাভাবিকই। ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এই মৌসুমে খেলবেন পিএসজির হয়ে। এই ক্লাবে ভবিষ্যতে তিনি রয়ে যেতে পারেন পাকাপাকিভাবেও। বেনফিকা থেকে এই মৌসুমের জন্য ধারে রামোসকে দলে নিয়েছে পিএসজি। ‘অপশন টু বাই’ ধারাও থাকছে চুক্তিতে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই এই মৌসুমে তাকে ধারে নিয়েছে পিএসজি। মৌসুম শেষ হলেই পর্তুগিজ এই তরুণকে স্থায়ী চুক্তিতে নেবে ফরাসি ক্লাবটি। ১২ বছর বয়স থেকে বেনফিকার একাডেমিতে বেড়ে উঠে ২০২০ সালে ক্লাবের মূল দলে অভিষেক হয় রামোসের। এবার পিএসজির মতো ক্লাবে যোগ দিয়ে তার উচ্ছ¡াসের মাত্রা ফুটে উঠল আন্ষ্ঠুানিক বিবৃতিতেই। “পিএসজিতে যোগ দিতে পারা আমার জন্য বিশাল গর্ব ও দারুণ খুশির ব্যাপার। অসাধারণ সব ফুটবলার নিয়ে বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলির একটি পিএসজি।” বেনফিকার হয়ে ১০৬ ম্যাচ খেলে ৪১ গোল করেন রামোস, সহায়তা করেন ১৬টি গোলে। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে একদম শেষ দিকে মাঠে নামতে পেরেছিলেন রামোস। পরে শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোর বদলে তাকেই সেরা একাদশে রাখেন কোচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমে নিজে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি গোলে সহায়তাও করেন তিনি। ৬-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখেন পর্তুগাল। সেখানে অবশ্য তারা হেরে যায় মরক্কোর কাছে। এই মৌসুমে রামোসের আগে পিএসজি রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এনেছে মার্কো আসেন্সিওকে। এছাড়াও আরও বেশ কজনকে দলে নিয়েছে তারা। বার্সেলোনা থেকে উসমান দেম্বেলের যোগ দেওয়াও এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।