বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভাবে আলোচিত চিংড়ী শিল্প। বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশের উৎপাদিত চিংড়ীর চাহিদা অনেক অনেক বেশী। চিংড়ীর পাশাপাশি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও আমাদের বৈদেশিক বানিজ্যে ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে বিশেষ ও কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। বর্তমান সময়গুলো বিশ্ব এক চরম অস্থির সময় অতিক্রম করছে। দুই বছরের অধিক সময় যাবৎ মহামারী করোনার উপস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিকে চরম ভাবে বিপর্যস্থ করার পাশাপাশি সা¤প্রতিক সময়ে সংঘটিত এবং বর্তমান সময়ে চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলার সময় গুলোতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের পূর্বে বৈদেশিক বাণিজ্য যেমন ছিল এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্র যতটুকু ছিল বর্তমান সময়ে সে অপেক্ষা অনেক অনেক কম, বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা আন্তর্জাতিক বিশ্বে শিল্প উৎপাদনকারী দেশি হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিত। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় শিল্পের পাশাপাশি কৃষি বিশেষ এবং কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। তারপরও খাদ্য শস্য প্রয়োজনে আমদানীর ক্ষেত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারন হেতু বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন হতে খাদ্য শষ্য রপ্তানীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির কারনে ইউক্রেন খাদ্য শস্য রপ্তানী করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন এর যুদ্ধের মাঝেও আমদানী রপ্তানী বানিজ্য করে চলেছে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে তবে বাস্তবতা হলো এই যুদ্ধের প্রভাব মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হয়েছে।