বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিজিটাল বিপ্লবের পূর্ণ সুবিধা এখনও গ্রহণ করতে পারিনি: ড. ইউনূস নিষেধাজ্ঞায় থাকা রোটা বন্দর দিয়েই ইসরাইলে অস্ত্র পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠাবে পশ্চিমা দেশগুলো? আদানির বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ, পর্যালোচনার দাবি বাংলাদেশের রেস্তোরাঁয় বসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধূমপান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়ালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাশিয়ার কুস্কের্ উত্তর কোরিয়ার ১০০ সেনা নিহত, দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় নৌ বাহিনীর স্পিডবোটের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষ, নিহত ১৩ লংকান টি—টোয়েন্টি দলে জায়গা পেলেননা ওয়েলালাগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের টেস্ট দল ঘোষণা

রাশিয়া ও চীনের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছায় চলছে হামলা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রোজাদার ফিলিীস্তনিদের উপর বিমান হামলা বন্ধ করেনি, বরঞ্চ প্রতিদিনই ইসরাইলি বিমান বাহিনীর বিমানগুলো গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা পরিচালনা করছে এক সময়ের সমৃদ্ধশালী এবং ঐতিহ্যের ধারকবাহক চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় অতিক্রম করে চলেছে। পুরো গাজা উপত্যকাই যেন মৃত্যুফাদ এবং পুরো ভূখন্ড গণকবর। একদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে আলোচনার কথা জানালেও প্রতিদিনই তারা নিরীহ, নিরস্ত্র রোজাদার ফিলিস্তিনিদের উপর বিমানহামলা পরিচালনা করছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা বলেছে ইসরাইলি সেনারা গাজার দক্ষিন অঞ্চলে পশ্চিমাঞ্চলকে তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছে যে কারনে দক্ষিন ও পশ্চিম গাজায় নতুন করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনায় নেমেছে। এতোদিনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজায় বেহিসেবি বিমান ও স্থল হামলা পরিচালনা করে পুরো উত্তর গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছে। উত্তর গাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ী, মসজিদকোন কিছুই অবশিষ্ট নেই দখলদার বাহিনীর আক্রমন হতে। সর্বত্র বেঁচে থাকায় এবং দখলদার বাহিনীর আক্রমনকে প্রতিহত ও প্রতিরোঘ করার প্রানন্তকর প্রচেষ্টা দখলদার ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি এবার পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি স্থাপনের ঘোষনা দিয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানের আল জাজিরা বলেছে ইসরাইলের যুদ্ধ কালীন মন্ত্রীসভা গতকাল ঘোষনা দিয়েছে যে তারা পশ্চিম তীরে আরও ত্রিশ শত বসতি স্থাপন করবে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও আরব ইসরাইলি পুদ্ধের ভয়াবহতা পরবর্তি চুক্তিনুযায়ী পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতির অনুমোদন করেনি অথচ দীর্ঘ বছর যাবৎ দখলদার ইসরাইলি পশ্চিম তীরে তাদের বসতি স্থাপনে তৎপর। হামাস ইসরাইল যুদ্ধের মাঝে ইসরাইলের অদিবাসিদের মাঝে ব্যাপক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে কোনকোন ইসরাইলিরা পুরোপুরী ভিাবে ইসরাইলি ছেড়ে চলে যেতে চাইছে বা চলে যাচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সর্বাধিক ইহুদীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসি হচ্ছে। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়াএবং রয়টার্স ও এএফপি সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় তাৎক্ষনিক যুদ্ধ ুিবরতি ঘোষনার প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করলে রাশিয়া ও চীন উক্ত প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো প্রদান করলে জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী তা সিদ্ধাান্ত পৌছাতে পারেনি অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আলোর মুখ দেখতে ব্যর্থ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো প্রদান করায় রাশিয়া ও চীন এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ইচ্ছাকে তো রাশিয়া বাস্তবায়ন হতে দিতে পারে না। ইতিপূর্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো প্রদান করে যে কারনে এতোদিনে ইসরাইল নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করে চলেছে। রাশিয়া ও চীন উভয় দেশই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বলে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে যে, ইসরাইল তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার প্রতিক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে বলেই তো ইসরাইল গাজা ভূ-খন্ডে হামলা পরিচালনা করছে নিরীহ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মম নির্যাতন সহ গণহত্যা পরিচালনা করছে। এমনকি রোজার দিনগুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা ভূখন্ডে হামলা পরিচালনা হতে দুরে থাকছে না। হামাস এবং ইসরাইলের মাঝে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তাব দৃশ্যতঃ কতদুর অগ্রগামী হয়েছে বা আদৌ অগ্রগামী হয়েছে কিনা তা নিয়েও মাধ্যস্থাকারী দেশগুলো স্পষ্ট ভাবে তাদের অবস্থান পরিস্কার করছে না। বিশেষ করে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশরের পক্ষ হতে গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশন কে বলেছে যে গাজা উপত্যকায় যে কোন মূল্যে যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার কারনে ইসরাইল ও অনেকটা নমনীয় কিন্তু উভয় পক্ষের অর্থাৎ হামাস ও ইসরাইলির একে অপরের কিছু শর্ত যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবকে অনেকটা দুরে রেখেছে। এদিকে গাজায় ক্ষুধা আর দারিদ্রতার পাশাপাশি চিকিৎসাহীনতা সর্বাপেক্ষা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গাজার অধিকাংশ হাসপাতালে চিকিৎসক নেই এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুবরন করছে ফিলিস্তিনিরা, ইফতারী এবং সিহরী কোন কিছুই রোজার দিনগুলোতে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের কে বাঁচতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে গাজায় খাদ্য শষ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরাইলি বাহিনীর বাঁধা প্রদানের ঘটনা ঘটছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com