এফএনএস: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, শহীদ পরিবার ও আমাদের আহতরাও সংস্কারের কথা বলছেন। এই সরকারের একটা পরিষ্কার ম্যান্ডেট হচ্ছে আমরা সংস্কার কার্যক্রমগুলো করবো। সে লক্ষ্যে তিন মাস আগে কমিশনগুলো করে দেওয়া হয়েছে, এসব প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেবো এবং তারপর নির্বাচনের দিকে যাবো। গতকাল বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আপনারা জানেন, গণঅভ্যুত্থানের এক দফা ছিল, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বলতে আমরা বুঝি, স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় অর্থনৈতিকসহ এ দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ অবস্থায় এক দফা বাস্তবায়নের জন্য সংস্কার কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই সরকারের একটা পরিষ্কার ম্যান্ডেট হচ্ছে সংস্কার কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করা। কেবলমাত্র একটা নির্বাচন বা ভোটের জন্য দুই সহস্রাধিক শহীদ প্রাণ দেননি, ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হননি। উপদেষ্টা বলেন, বিগত দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে এসব জেলা—উপজেলাগুলোতে উন্নয়ন কার্যক্রম করা হবে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সঙ্গে উপজেলা লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মকর্তারা ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয় মনিটরিং করা হবে। গণ—অভ্যুত্থানে জেলার আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আহতদের সঙ্গে বসে গল্প করেছি। তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করবো। এ সময় মতবিনিময় সভায় ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাসসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।