এফএনএস: প্রবাসী আয়ে ভর করে ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, রিজার্ভ এখন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে শর্তে ঋণ দিয়েছে, তার একটি মূল অংশ হলোÑ নিট রিজার্ভ নির্ধারিত মাত্রায় রাখা। আশা করছি, জুন মাসের মধ্যে সেই শর্ত পূরণ করা সম্ভব হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি ‘বিপিএম—৬’ অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভ বা এনআর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছু বেশি। সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রফতানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ বলতে, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক দায় ও দায়বদ্ধতা বিয়োগের পর অবশিষ্ট অর্থকে বোঝানো হয়। আর ‘বিপিএম—৬’ হলো, আইএমএফের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ নির্ধারণের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ সাধারণত কিছুটা কম দেখায়, তবে এটি বৈশি^ক মানদণ্ডে বেশি গ্রহণযোগ্য। বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিজার্ভের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। রেমিট্যান্স এবং রফতানি আয়ে স্থিতিশীলতা থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।