এফএনএস: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার (রিজার্ভ) দাঁড়াল ৩২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। নভেম্বর-ডিসেম্বর এই দুই মাসে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করা হয়। গত রোববার দিনশেষে তা সমন্বয় করা হয়। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন হলো বহুপক্ষীয় ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি আন্তঃআঞ্চলিক চলতি লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ইরান ও মালদ্বীপ আকুর সদস্য। ডলার ও ইউরোর মাধ্যমে আকুর বিনিময় বা লেনদেন হয়ে থাকে। প্রতি দুই মাস পর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় পেমেন্ট করা হয়। আকুর চলতি লেনদেনের নিষ্পত্তি ছাড়াও ডলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সরকারি আমদানিতে এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রিজার্ভ গিয়ে ঠেকে ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। এরপর থেকে আকুর দায় পরিশোধ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভের ডলার কমতে থাকে। চলতি অর্থবছরের শুরুতেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৬০০ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। নিট রিজার্ভ আরও ৮ বিলিয়ন ডলার কম, যা দিয়ে ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।