এফএনএস বিদেশ : চলতি বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ থেকে এক কোটি ব্যারেল তেল বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের জ¦ালানি বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মূলত ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর জ¦ালানি নির্ভরতা কমানোর ঘোষণা দেয় অঞ্চলটি। যদিও এরইমধ্যে ইউরোপে তেল সরবরাহ উলেখযোগ্য হারে কমিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। জানা গেছে, বিভাগটি নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও লুইসিয়ানার রিজার্ভ থেকে এক কোটি ব্যারেল তেল সরবরাহের জন্য বাজারে ছাড়বে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব বাজারে জ¦ালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যদিও তা এখন ১০০ ডলারের নিচে চলে এসেছে। তাছাড়া বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকিও ক্রমেই বাড়ছে। এমন সময়েই যুক্তরাষ্ট্র রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ার কথা জানালো। যুক্তরাষ্ট্রে এখন তেলের দাম প্রায় যুদ্ধের আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। নভেম্বরে দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এদিকে ওপেকভুক্ত দেশগুলোও তেলের উৎপাদন কমানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ওপেক ও তার মিত্ররা আগামী মাসে প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। বেড়েছে আমদানি-রপ্তানি। গত মাসে চীন রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ জ¦ালানি আমদানি করেছে। এ সময় দেশটির মোট জ¦ালানি পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৩০ কোটি ডলারে। ক্রুড তেল, গ্যাস ও কয়লার জন্য বেইজিং ক্রমেই মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে।