বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

রোগ ছাড়াই ব্যথা হয় প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে; এর মধ্যে প্রথমে আসে শারীরিক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন এবং এরপর ধাপে ধাপে চলে আসে কৈশোরের সর্বশেষ প্রাপ্তি হিসেবে আসে মাসিক বা ঋতু¯্রাব। সাধারণত ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ঋতু¯্রাব শুরু হয়। ডিসমেনোরিয়া বা ব্যথামুক্ত ঋতু¯্রাব একটি সাধারণ ইস্যু। ডিস মানে কষ্টকর, মেনো মানে মাসিক, রিয়া মানে প্রবাহ।
সাধারণত ডিসমেনোরিয়া দুই ধরনের
– প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া
– সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া
কোনো রোগ ছাড়াই যখন মাসিক কষ্টদায়ক এবং ব্যথাযুক্ত হয় তখন একে বলা হয় প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া। এটা সাধারণত কৈশোরকালীন সময়ের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। ঋতু¯্রাব শুরুর দুই বছরের মধ্যে এটা দেখা যায়। ইতিহাস নিলে দেখা যায়, এটার বংশগত ট্রেন্ড আছে।
যেমন-মা, বোন, খালা, এনাদের মধ্যেও একই উপসর্গ থাকে এবং সচ্ছল বা ধনী সমাজের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ডিসমেনোরিয়ার কারণ কী?
– কৈশোরকালীন টেনশন বা উদ্বেগ
– কৈশোরকালীন সহ্য ক্ষমতা কম থাকে
– অধিক মাত্রায় জরায়ুর ভেতরের অ্যাক্টিভিটি এবং এই স্তরের কার্যগত এবং গঠনগত অসামঞ্জস্যের ফলাফল।
– কিছু হরমোনের আধিক্য যেমন-প্রোস্টাগø্যান্ডিন, যা কি না জরায়ুর মাংশপেশি সংকুচিত করে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা প্রদান করে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।
– এর সঙ্গে যোগ হয় ভেসোপ্রেসিন এবং এন্ডোথেলিন নামক আরো দুটি হরমোন।
লক্ষণ
– মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে ব্যথা শুরু হয় এবং খুব বেশি হলে ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তীব্রভাবে থাকে।
– খিঁচে ধরা ব্যথা।
– অনেক সময় কোমর, থাই ও পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
– এর সঙ্গে থাকে বমি, গা গুলানো ভাব এবং মাথা ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, প্রচÐ অবসাদ, দুর্বলতা ও ডায়রিয়া।
করণীয়
একজন নারীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো মাসিক-প্রকৃতির নিয়মে তার প্রকাশ নারী জীবনকে দেয় পূর্ণতা, ব্যথামুক্ত মাসিক অনেক সময় নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা করে ব্যাহত।
– জীবনযাত্রাকে সহজ ও ব্যথামুক্ত করতে কিছু উপায় আছে।
– ঘরোয়া উপায় : তলপেটে গরম সেঁক দেওয়া এবং ম্যাসাজ করা, কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। আদা-চা, আদা-কুচি ও গরম পানি খাওয়া।
– ব্যায়াম : হালকা কিছু ব্যায়াম (সাইক্লিং, সাঁতার), শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম
– ওষুধ : পেইন কিলার (এনএসএআইডি-আইবুপ্রোফেন, নেপ্রোক্সেন, ডাইক্লোফেনাক বা মেফিনামিক এসিড) খাওয়া যেতে পারে। বিবাহিত মেয়েদের জন্য ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ, প্রোজেস্টেরন হরমোন ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
– সার্জারি।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. সুমাইয়া আক্তার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন কনসালট্যান্ট, ওজিএসবি এবং আইআরসিএইচ

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com