বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

রোগ ছাড়াই ব্যথা হয় প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে; এর মধ্যে প্রথমে আসে শারীরিক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন এবং এরপর ধাপে ধাপে চলে আসে কৈশোরের সর্বশেষ প্রাপ্তি হিসেবে আসে মাসিক বা ঋতু¯্রাব। সাধারণত ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ঋতু¯্রাব শুরু হয়। ডিসমেনোরিয়া বা ব্যথামুক্ত ঋতু¯্রাব একটি সাধারণ ইস্যু। ডিস মানে কষ্টকর, মেনো মানে মাসিক, রিয়া মানে প্রবাহ।
সাধারণত ডিসমেনোরিয়া দুই ধরনের
– প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া
– সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া
কোনো রোগ ছাড়াই যখন মাসিক কষ্টদায়ক এবং ব্যথাযুক্ত হয় তখন একে বলা হয় প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া। এটা সাধারণত কৈশোরকালীন সময়ের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। ঋতু¯্রাব শুরুর দুই বছরের মধ্যে এটা দেখা যায়। ইতিহাস নিলে দেখা যায়, এটার বংশগত ট্রেন্ড আছে।
যেমন-মা, বোন, খালা, এনাদের মধ্যেও একই উপসর্গ থাকে এবং সচ্ছল বা ধনী সমাজের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ডিসমেনোরিয়ার কারণ কী?
– কৈশোরকালীন টেনশন বা উদ্বেগ
– কৈশোরকালীন সহ্য ক্ষমতা কম থাকে
– অধিক মাত্রায় জরায়ুর ভেতরের অ্যাক্টিভিটি এবং এই স্তরের কার্যগত এবং গঠনগত অসামঞ্জস্যের ফলাফল।
– কিছু হরমোনের আধিক্য যেমন-প্রোস্টাগø্যান্ডিন, যা কি না জরায়ুর মাংশপেশি সংকুচিত করে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা প্রদান করে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।
– এর সঙ্গে যোগ হয় ভেসোপ্রেসিন এবং এন্ডোথেলিন নামক আরো দুটি হরমোন।
লক্ষণ
– মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে ব্যথা শুরু হয় এবং খুব বেশি হলে ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তীব্রভাবে থাকে।
– খিঁচে ধরা ব্যথা।
– অনেক সময় কোমর, থাই ও পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
– এর সঙ্গে থাকে বমি, গা গুলানো ভাব এবং মাথা ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, প্রচÐ অবসাদ, দুর্বলতা ও ডায়রিয়া।
করণীয়
একজন নারীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো মাসিক-প্রকৃতির নিয়মে তার প্রকাশ নারী জীবনকে দেয় পূর্ণতা, ব্যথামুক্ত মাসিক অনেক সময় নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা করে ব্যাহত।
– জীবনযাত্রাকে সহজ ও ব্যথামুক্ত করতে কিছু উপায় আছে।
– ঘরোয়া উপায় : তলপেটে গরম সেঁক দেওয়া এবং ম্যাসাজ করা, কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। আদা-চা, আদা-কুচি ও গরম পানি খাওয়া।
– ব্যায়াম : হালকা কিছু ব্যায়াম (সাইক্লিং, সাঁতার), শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম
– ওষুধ : পেইন কিলার (এনএসএআইডি-আইবুপ্রোফেন, নেপ্রোক্সেন, ডাইক্লোফেনাক বা মেফিনামিক এসিড) খাওয়া যেতে পারে। বিবাহিত মেয়েদের জন্য ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ, প্রোজেস্টেরন হরমোন ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
– সার্জারি।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. সুমাইয়া আক্তার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন কনসালট্যান্ট, ওজিএসবি এবং আইআরসিএইচ

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com