দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ করলেও গণ হত্যাকারী দখলদার ইসরাইলি জাতিসংঘের নিরপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে দখলদার ইসরাইল গাজার সর্বত্র বিমান হামলা স্থল হামলা পরিচালনা করছে এবং হত্যাকান্ডে মেতে উঠেছে। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী উত্তর ও দক্ষিন গাজার উল্লেখযোগ্য স্থানে ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় পাঞ্চাশজনের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। খান ইউনিস এর সর্বত্র হামলা আর হামলার ক্ষত চিহৃ, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী খান ইউনিসের একটি মাত্র হাসপাতাল ও নেই যে হাসপাতালটি সুরক্ষিত আছে। হামলা বা ধ্বংসের মুখে খান ইউনিসের সর্বাধিক বৃহত্তম হাসপাতাল আল সিফা হাসপাতালের অস্তিত্ব পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। আল সিফা হাসপাতালে হামাস যোদ্ধাদের অবস্থান এবং হামাসের কর্মকান্ড আল সিফা হাসপাতাল হতে পরিচালিত হয় দখলদার ঘাতক ইসরাইল বাহিনী এমন প্রচার প্রচার, প্রচারনা দিয়ে উক্ত আল সিফা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। অবশ্য আল সিফা হাসপাতালে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান নতুন নয়। ইতিপূর্বেও তারা একাধিক বা রততা বারবার খান ইউনিসের আলসিফা হাসপাতালে হামলা সহ অভিযান পরিচালনা করে। ফিলিস্তিনিরা রোজা পালন করছেন। গাজা উপত্যকার ত্রিশ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিরা রোজা পালন করা অবস্থাতেও তারা নিরাপদ নয়। রোজাদার ফিলিস্তিনিদেরকে তারা একের পর এক হত্যা করছে দৃশ্যতঃ গাজা উপত্যকা বর্তমান সময়ে এক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। প্রতিমুহুর্তে, প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিরা মৃত্যু আতঙ্কে নিজেদেরকে বিপন্ন করছে। ইফতারির খাবার সংগ্রহে যেতে ফিলিীস্তনিদের মাঝে মৃত্যু ভীতি কাজ করছে এমন কোন দিন নেই যে দিনে দখলদার বাহিনী নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তনিদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করছে না। সিহরী না করেই অভূক্ত অবস্থায় ফিলিস্তিনিরা রোজা রাখছেন। গাজার মসজিদ গুলোর অধিকাংশ মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। দখলদার বাহিনীর সদস্যরা কেবল মাত্র আল আকসা মসজিদে কমপ্লেক্স এ আগত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের উপর নিপিড়ন বা নির্যাতন পরিচালনা হতে বিরত থাকছে। কারন হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরা আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করছে কিন্তু দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের কিছু বলছে না। রোজার দিনে ইতফারির আয়োজনে গ্রহনেও দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করছে। গাজাবাসির জন্য বর্তমান সময়ে প্রবল খাদ্য সংকট। ফিলিস্তিনিদের ঘরে ঘরে অভুক্তের প্রতিচ্ছবি, প্রতিদিনই না খাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে অভূক্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনির মৃত্যর ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী তেত্রিশি হাজারের অধিক সংখ্যক ফিলিস্তিনি কে হত্যা করেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু, ইসরাইলিবাহিনী ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদেরকে তাদের হত্যাকান্ডের তালিকায় রেখেছে কারন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি প্রজন্মকে নিধন ও নিশ্চিহৃ করন। গাজা উপত্যকার সুনশান সুউচ্চ ইতিহাস আর ঐতিহ্যখ্যাত সুরম্য বিল্ডিংগুলোকে ধ্বংস করে ছেড়েছে দখলদার বাহিনী। গাজা উপত্যকার অন্তত পঁচাত্তর হতে আমি শতাংশ বসতবাড়ীতে বিমান হামলা চালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে দখলদার বাহিনী। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলি বর্ষনে গাজায় সাত আন্তর্জাতিক ত্রান কর্মি নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো তীব্র ক্ষোভ প্রকশ করেছে একই সাথে নিন্দা ও জানিয়েছে। এই প্রথম ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সেজামি নেতানিয়াহু সাত ত্রান কর্মিকে হত্রঅর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের সেনারা অনুভিব করতে না পেরেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এদিকে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি পন বন্দীদের মুক্ত করতে না পারায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সহ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইসরাইলি বিক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবী নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ। বর্তমান সময়ে ইসরাইল জাতিসংঘকেও মানতে চাইছে না আর এ জন্য বিশ্ববাসির দেখার বিষয় জাতিসংঘের ভূমিকা।