এফএনএস বিদেশ : মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সব ধরণের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গত ১৯ জানুয়ারি অঞ্চলটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল দখলদার ইসরায়েল। কিন্তু প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ গত শনিবার শেষ হয়েছে। হামাসকে হুঁশিয়ার করে গতকাল রোববার ইসরায়েল জানায়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে হামাস রাজি না হলে ‘পরিণতি ভয়াবহ’ হবে। তবে যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গড়িমসিতে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি হলে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং একটি টেকসই চুক্তির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। ইসরায়েল বলেছে, রমজান মাস এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে সমর্থন করে তারা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের তরফে এ প্রস্তাব এসেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, নতুন এ প্রস্তাবে হামাসকে ইসরায়েলি অর্ধেক জিম্মিদের বর্ধিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদের শুরুর প্রথম দিন এবং বাকিদের স্থায়ী যুদ্ধিবিরতিতে পেঁৗছানোর পর মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র, মিসর বা কাতারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানায়নি। গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া তারা প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হবে না।