এফএনএস স্পোর্টস: সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি হাসল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কুমিলার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে সাইফ। জোড়া গোল করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বাকি দুই গোল এমেকা ও এমেরি বাইসেঙ্গের। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে গোল করেছেন ওমিদ, পিটার থ্যাংকগড ও ক্যান্ডি অগাস্তিন। নিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচ জিতে নিল সাইফ। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। সমান ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথমার্ধে সমান তালে লড়াই চালায় দুই দল। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে ম্যাচ। তবে সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় সাইফ। দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়তার দেখা মিলে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচ। একবার চট্টগ্রাম আবাহনী এগিয়ে যায় তো আবার সাইফ। তবে শেষ পর্যন্ত আর সাইফকে আটকাতে পারেনি বন্দর নগরীর দলটি। ম্যাচের নবম মিনিটে ভাল সুযোগ তৈরি করে সাইফ। জামালের ফ্রিকিক ছয় গজ বক্স থেকে রিয়াদুল রাফির হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। ১৩ মিনিটে আক্রমণে ওঠে আবাহনী, সাইফকে রক্ষা করেন গোলকিপার মিতুল হাসান। বাম প্রান্ত দিয়ে দারুণ ভাবে বক্সে ঢুকে পড়েন অগাস্তিন ক্যান্ডি। তার কাটব্যাক থেকে পিটার থ্যাংকগডের শট পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে আটকে দেন মিতুল। ৩২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন পিটার থ্যাংকগড। ডান প্রান্ত থেকে ক্যান্ডি অগাস্তিনের নিচু করে নেওয়া ক্রস বক্সের ভেতরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিটার। আবাহনী সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ৪৩ মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ। বক্সের বাম দিক থেকে ফয়সাল ফাহিমের নিচু করে নেওয়া ক্রসে গোলমুখে পা লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এমেকা ওগবাগ। তার গায়ের সঙ্গে সেটে থেকেও আটকাতে পারেননি কেহিন্দে ইসা। ৫৭ মিনিটে সমতার স্বস্তি ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনীর তাঁবুতে। বল নিয়ে বক্সে ঢোকা ক্যান্ডি দুই ডিফেন্ডারকে ডজ দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর গোলমুখে কাট ব্যাক করেন, ডাইভিং হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আফগান মিডফিল্ডার ওমিদ পোপালজাই। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের বাম প্রান্তে সাইফের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের শটে দুরের পোস্টে বল জালে জড়ান ক্যান্ডি অগাস্তিন। চার মিনিট বাদেই শোয়েব মিয়ার শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। ৭২ ও ৭৪ মিনিটে দুই গোল করে সাইফকে চালকের আসনে বসান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৭২ মিনিটে বদলি নামা নিহাত জামান উচ্ছ¡াসের বাড়ানো পাসে দূরের পোস্টে পা লাগিয়ে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। ৭৪ মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার বুদ্ধিতৃপ্ত পাসে বাম দিক দিয়ে ঢুকে বাম পায়ের জোরাল শটে বল জালে জড়ান। ৮৬ মিনিটে স্পটি কিক থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরান থ্যাঙ্কগড। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে বক্সে গোলরক্ষক মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। যোগ করা প্রথম মিনিটে পেনাল্টি পায় সাইফ। সফল স্পট কিকে সাইফকে জয় এনে দেন এমেরি বাইসেঙ্গে। দিনের আরেক ম্যাচে ওবায়দুর রহমান নবাবের একমাত্র গোলে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। ১৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট দশম অবস্থানে মুক্তিযোদ্ধা। আর ছয় পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে স্বাধীনতা।