এফএনএস বিদেশ: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তার দেশের পাল্টা আক্রমণ দ্রæতলয়ের ছিল না কিন্তু তা সত্তে¡ও সৈন্যরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ন্যাটোর সদস্য হিসেবে ইউক্রেনের যোগ দেওয়া নিয়ে আরও ক‚টনৈতিক চাপ সৃষ্টির অভিপ্রায়ে গত বৃহস্পতিবার চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে পৌঁছে এই মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। এ ছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে আরও অস্ত্রশস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করাও এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য। খবর এএফপির। প্রাগে চেক নেতা পিটার পাভেলকে পাশে নিয়ে জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আক্রমণ দ্রæত গতির ছিল না, সেটা একটা বিষয়। তবে যাই হোক না কেন আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, রাশিয়ানদের মতো পিছিয়ে আসছি না। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে।’ এদিকে গতকাল শুক্রবার ইস্তান্বুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বসার সূচি রয়েছে জেলেনস্কির। এই সঙ্কটে তাকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে ইস্তান্বুলের। অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত ও যুদ্ধে ইউক্রেনের অন্যতম সমর্থক বুলগেরিয়া সফরের পর প্রাগে এসে চেক নেতা পাভেলের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। মূলত ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য সংস্থাটির ওপর চাপ বাড়াতে এবং তার দেশের জন্য আরও অস্ত্রের চালান নিশ্চিত করতেই ঝটিকা সফরে রয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্র সরবরাহে ধীর গতির কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় লাগছে আর এ কারণে রাশিয়া দখল করে নেওয়া এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্ত করতে পারছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলছে যে পেন্টাগন ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যাতে থাকতে পারে বিতর্কিত ক্লাস্টার বোম্ব বা গুচ্ছ বোমা। এর আগেও এই যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সৈন্যরা গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করেছে। এ বিষয়ে পেন্টাগন মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, সা¤প্রতিক মডেলের এসব বোমা সরবরাহের বিষয়ে এখনও কোনো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই বোমা সরবরাহের পরিকল্পনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে, এসব বোমা দীর্ঘদিন অবিস্ফোরিত থেকে বেসামরিক লোকদের জীবনের প্রতি মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে দেখা দিতে পারে।