বাংলাদেশের মাটিতে উৎপাদিত কৃষি সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম ধান। জন মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র ও অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে সোনার ফসল উৎপাদন করে। বিশেষ করে ধান, পাট, গম, ডাল, সহ নানান ধরনের সবজি ও কাটাখন্দ উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশ খাদ্য শষ্য বিশেষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলে আমাদের দেশের কৃষকরা উৎপাদিত পন্যের যথাযথ মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এ দেশ নানান ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাকের দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে যে কারনে বারবার প্রকৃতির রুদ্ররোষের কারন হেতু ফসলহানী ঘটে আবার কোন কোন সময় অতি বৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টির কারনেও ফসলহানীর ঘটনা চলমান। বর্তমান সময়ে বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে ক্ষেতে ক্ষেতে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা ধানপাতা পরিচর্যা করছে আবার কেউ কেউ ধান রোপন শুরু করেছে সাতক্ষীরার বাস্তবতায় এই জেলা কৃষি নির্ভর জেলা হিসেবে পরিচিত পেয়েছে অনেক আগেই। সাতক্ষীরার কৃষি অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে এগিয়ে চলেছে আর এ সাতক্ষীরার কৃষি উৎপাদন সময়ের বাস্তবতায় অনেক অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরার উলেখযোগ্য অংশ জমি চিংড়ী ঘেরে পরিনত হয়েছে। চিংড়ী চাষের সহায়ক লবনাক্ত পানির উপস্থিতি অতি অপরিহার্য। লবনাক্ত পানি তথা লবনাক্ত সহনশীল ধান চাষ সাতক্ষরার কৃষির জন্য বিশেষ সুবাতাস বইছে বিধায় কৃষকরা সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে উক্ত ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে। বিস্তীর্ন এলাকায় শুরু হয়েছে লবনাক্ত সহনশীল ধান চাষ। সাতক্ষীরার কৃষি এগিয়ে চলুক লবনাক্ত সহনশীল ধান চাষ। সাতক্ষীরার কৃষি এগিয়ে চলুক কৃষিতে সুবাতাস প্রবাহিত হোক এমনই প্রত্যাশা জেলার বিশলক্ষাধীক মানুষের।