এফএনএস স্পোর্টস: প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ওয়ানডে দলের নেতৃত্বভার পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। প্রথম সুযোগেই তিনি ছক্কা হাঁকালেন! মানে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। তামিম ইকবাল চোট পাওয়ায় সিরিজ শুরুর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে তাকে অধিনায়ক করা হয়। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই মাঠে যে আগ্রাসী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন লিটন, তা প্রশংসার যোগ্য। সেইসঙ্গে মাঠে তার নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্ব, বোলিং পরিবর্তন ছিল চোখে পড়ার মতো। খালেদ মাহমুদ সুজনও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভারত সিরিজে ‘ছুটি’তে থাকা টিম ডিরেক্টের খালেদ মাহমুদ সুজন গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের কাছে লিটনের নেতৃত্বের মূল্যায়ন করেন এভাবে, ‘আই অ্যাম ভেরি মাচ ফন্ড অব লিটন দাস। আমি মনে করি, সে খুবই সেন্সিবল একজন ক্রিকেটার। নলেজেবল একটা ছেলে। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যেভাকে সে অধিনায়কত্ব করেছে, সাহসের পরিচয় দিয়েছে এবং আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করেছে, তা দারুণ। আমি সবসময় আগ্রাসী অধিনায়কদের পছন্দ করি, যারা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এভাবে অধিনায়কত্ব করে। আমি একশতে একশ বলব লিটনের নেতৃত্ব। ‘ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয় নিয়ে সুজন বলেন, ‘এক কথায় দারুণ। এই সংস্করণে যে আমরা শক্তিশালী বা জিততে জানি, কিংবা ভারতের বিপক্ষে আগের সিরিজটাও ঘরের মাঠে আমরা জিতেছিলাম ২০১৫ সালে। ওই সুখস্মৃতি তো ছিলই। তবে দুটি ম্যাচেই আমরা যেভাবে জিতলাম, এতে আমাদের ‘ক্যারেকটার’ ফুটে ওঠে। মিরাজ, মাহমুদউলাহ, কালকে মুস্তাফিজ ছিল অসাধারণ। প্রথম ম্যাচে শেষ জুটিতে পঞ্চাশের বেশি করে জয়ৃ। ‘সুজন আরও বলেন, ‘কালকে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা কেউ আশা করিনি বা বাংলাদেশের কেউ হয়তো আশা করেনি যে এত রান করতে পারব। ভেবেছিলাম ২২০-২৩০ করতে পারলেও অনেক ভালো হবে। সেখান থেকে ২৭১ করতে পারা আমাদের দারুণ চরিত্রই ফুটিয়ে তোলে। মিরাজ অনেক পরিণত হয়েছে। আমরা সবসময় মিরাজকে বোলিং অলরাউন্ডার চিন্তা করি, এখন ওকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবতে হবে সত্যি কথা বলতে। ‘