বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

লিভারে চর্বি জমলে করনীয় কী?

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস স্বাস্থ্য: দেশে লিভারে চর্বি বা ফ্যাটি লিভারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। লিভারে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়। মাত্রাতিরিক্ত মদপান ছাড়াও লিভারে চর্বি জমলে সেটিকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লিভারের একটি অংশে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে প্রদাহ হয়। এতে ধীরে ধীরে লিভার তাঁর স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে।
চর্বি জমার ফলে প্রদাহজনিত লিভারের এই অবস্থাকে নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস বা ন্যাশ বলা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের বড় কারণ কিন্তু এই ফ্যাটি লিভার।
লক্ষণ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যাশে আক্রান্ত রোগীদের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। অন্য কোনো রোগের কারণে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণত এই রোগ ধরা পড়ে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে-
♦ পেটের ডান দিকের উপরিভাগে অস্বস্তিবোধ বা হালকা ব্যথা
♦ অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ
♦ ক্ষুধামান্দ্য
♦ বমি বমি ভাব
♦ ক্রমেই ওজন হ্রাস।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে লিভার বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
অবহেলায় লিভার অকার্যকর হয় এবং লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
করণীয়
ফ্যাটি লিভার বা ন্যাশের শতভাগ কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই সুষম খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনই ন্যাশকে প্রতিরোধ করতে পারে। ন্যাশ প্রতিরোধে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটার অভ্যাস, অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ফাস্ট ফুড পরিহার, মদপান ও ধূমপান বর্জন করতে হবে।
মেটাবলিক সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত কোনো সমস্যা থাকলে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত লবণ, লাল মাংস বর্জন করুন। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার যেমন বিভিন্ন রঙের শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। লাল আটার রুটি বা লাল চালের ভাত নিয়মিত খেতে পারলে ভালো। সামুদ্রিক মাছ যেমন-টুনা, সারডিন, লো ফ্যাট দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, রসুন, গ্রিন টি, ওটস ইত্যাদি খান। সঠিক পরিমাণে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন রাখুন।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন সহকারী অধ্যাপক, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com