এফএনএস বিদেশ : মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাতিল হওয়া ভারতের কংগ্রেস নেতা সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশের ওপর স¤প্রতি দেশটির শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। তারপরই গতকাল সোমবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর। স্পিকারের সচিবালয় থেকে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর জেরে আজ মঙ্গলবার থেকে সংসদ ভবনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা। তাতে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইল না রাহুলের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের কারণে গত ২৩ মার্চ রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয় সুরাটের নিম্ন আদালতে। সেই রায়ে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদÐ দেন গুজরাট রাজ্যের সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই অর্থাৎ ২৪ মার্চ সাংসদ সদস্য পদ খোয়াতে হয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। যদিও সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগ পাবেন রাহুল। পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন রাহুল। গত ১৩ এপ্রিল মামলাটি ওঠে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে। ২০ এপ্রিল শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তার রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু, নগর দায়রা আদালতের বিচারক পি মোগেরা. রাহুলকে কোনোরকম স্বস্তি দেননি। রাহুলের আরজি খারিজ করে দিয়েছিল নগর দায়রা আদালতও। সেদিনই কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হয়েছিল, আরও উচ্চতর আদালতে মামলা দায়ের করবেন রাহুল। এরপরই ২৫ এপ্রিল গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কংগ্রেস নেতা তথা রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সেই মামলা গত ৭ জুলাই গুজরাট হাইকোর্টেও খারিজ হয়ে যায়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। গত শুক্রবার রাহুলের দুই বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। অথচ সুপ্রিম কোর্ট রাহুলকে স্বস্তি দেয়ার পর লোকসভা সচিবালয়ের সেই ক্ষিপ্রতা দেখা যায়নি। সেই কারণে বিরোধীরা সমষ্টিগতভাবে স্পিকারের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। এমনকি কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন যে রাহুলের লোকসভার সদস্য পদ ফেরানো হয়েছে।