তালা প্রতিনিধি \ তালার উত্তর আটারই শত বছরের বটতলা ঈদগাহ ময়দান জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চলছে। ঈদাগাহের নামে রেকডিও জমি চঞ্চকী দলিলের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করছেন ভূমি দস্যু হায়দার মোড়ল। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। প্রাপ্ত তথে জানা যায়, আটারই গ্রামের আনছার মাহমুদ গংদের পূর্ব পুরুষেরা এই ঈদগাহ ও মাদ্রসার নামে এই জমি দান করেন । তাদের মৃত্যুর পর জালজালিয়াতির হোতা আটারই গ্রামের হান্নান মাহমুদ ও মান্নান মাহমুদ এই জমির ভূয়া কাগজ তৈরী করে নিজেদের বলে দাবি করে এবং প্রতিবেশী নজির মাহমুুদের কাছে বিক্রি করে। এখন তার ওয়ারেশগণ জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছেন। যে কোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘষের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। ঈদগাহে কার্যক্রম চলমান থাকায় কেহ দখলে যেতে পারছেন না। সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে আটারই গ্রামের হাসেম আলী সরদার (৮০), কেরামত আলী মোড়ল(৮০), আসমত আলী খাঁ (৬৫), সামাদ মলিক (৬৭) জানান, উত্তর আটারই বটতলা শতবর্ষী ঈদগাহ ৫২ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই ঈদগাহ সংলগ্ন একটি নুরানী মাদ্রাসা ছিলো। যেখানে তারা লেখাপড়া করেছেন ও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন যা অদ্যাবধি অব্যাহত আছে। আটারই গ্রামের আনছার মাহমুদ গংদের পূর্ব পুরুষেরা ৮৬২ নং খতিয়ানে, ৫৯ নং দাগে ৫২ শতক জমি ঈদগাহ’র নামে দান করেন। যা পরবর্তীতে ঈদগাহের নামে সিএস এবং এসএ রের্কড ভূক্ত হয় বলে জানান তারা। বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, উত্তর আটারই বটতলা ব্রিটিশ আমলের ঈদগাহ ময়দানে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি। ঐখানে একটি নুরানী মাদ্র্রাসাও ছিলো সেখানে এলাকার মুরুব্বিরা লেখা-পড়া করেছেন। এখন হায়দার গংরা ঐ ঈদগাহ দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।