দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ শরিয়তপুর জাজিয়ার আলোচিত কৃষক সামাদ মাদবর হত্যা মামলায় বারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করলেন শরিয়তপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমানের আদালত। চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সামাদ মাদবর হত্যা মামলার রায় জানতে আদালত চত্বরে লোক সমাগম ছিল উলেখযোগ্য। আসামীদের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ বিচারক উক্ত আদেশ দেন। একই সাথে প্রতিজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষনার পর মামলার বাদী ও নিহত কৃষক সামাদ মাদবরের পুত্র শাহজালাল রায়ে তার ও তার পরিবার খুশি বলে জানান এবং অত্র আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন যথাক্রমে আজিজুল মাদবর, রফিকুল মৃধা, লিটন মাদবর, মান্না মৃধা, আঃ আলিম মাদবর, মফিজ মৃধা, তারন করাজী, নুরুল হক মাদবর, জুলহাস মাদবর, আলাউদ্দীন ফকির, বারেক মাদবর ও মনির মাদবর, দন্ডপ্রাপ্তদের সকলের বাড়ীর জাজিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চরখোরাতলা গ্রামে। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর চরখোরাতলা গ্রামের সামাদ মাদবরকে হত্যা করে ফসলি জমিতে লাশ ফেলে রাখা হয়। কে বা কারা হত্যা করে সে বিষয়টি তখনও অজানা ছিল, হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে দন্ডপ্রাপ্তরা এবং নিহত সামাদ মাদবর একই দলভূক্ত এবং অন্য একটি হত্যা মামলার বাদী ও আসামীদেরকে ফাঁসাতে আসামী আজিজুল মাদবর সহ মিলে সামাদ মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসার পর নিহতের পুত্র শাহজালাল বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সাত বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমানের আদালত এই রায় প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মির্জা হযরত আলী এই রায়কে দৃষ্টান্তমূলক বলে অবিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন এমন রায় হলে আসামীরা যথাযথ সাজা পেলে এমন বর্বোরচিত হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি হবে না। আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহ আলম উচ্চতর আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।