কপিলমুনি প্রতিনিধি ॥ দূর্গাপুজার আগমনী বার্তায় শারদীয় উৎসব মূখর হয়ে উঠেছে কপিলমুনি পূর্বপাড়া হরিসভা পূজা মন্দির। ইতোমধ্যে সাজ সাজ রবে ভরে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গণ। ভাস্কর্য শিল্পীর নিপুণ হাতের কারুকার্যে দূর্গা প্রতিমাকে পূর্ণ রুপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। সেখানে লাইটিং থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে অবস্থিত বেলুর মঠের আদলে গেটসহ প্যান্ডেল নির্মাণ কাজ চলছে। শরতের ঝিরঝির বাতাসে শুভ্র কাশফুল যখন আন্দোলিত, শিশির স্নাত শিউলী ফুলের মিষ্টি সুবাস সকলকে বিমোহিত করে, প্রকৃতির এমনি এক মায়াময় মূহুর্তে আগমন ঘটছে দেবী দূর্গার। তাই দেবী দূর্গার আগমনী বার্তায় বণাঢ্য সাজে সেজেছে পূর্বপাড়া হরিসভা মন্দির। বোধন থেকে বিসর্জন অবধি থরে থরে সাজানো হয়েছে মায়ের আরাধনা ও আনন্দ আয়োজনে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মহাষষ্ঠী পুজার মধ্যে দিয়ে দূর্গাপুজার সূচনা শুরু হবে। এদিন সন্ধ্যায় উদ্বোধনী মঞ্চে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিজয় কুমার ঘোষ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থাকবেন, খুলনা জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা, সহ-সভাপতি চম্পক কুমার পাল, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তমাল কান্তি ঘোষ, সাধন কুমার ভদ্র, পাইকগাছা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু ও সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস। শনিবার (২১ অক্টোবর) মহাসপ্তমী পুজা, সন্ধ্যা আরতী, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে সীতা হরণ নৃত্যনাট্য। রবিবার (২২ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী পুজা অন্তে রাত্র ৯ টায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যরুপ ও কালী রুপ দর্শন নৃত্যনাট্য। সোমবার (২৩ অক্টোবর) মহানবমী পুজা ও রাত্র ৯ টায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও মহিষাসুর মর্দিনী। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শারদীয়া দূর্গাদেবীর বিজয় দশমী পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দেবী দূর্গার বির্সজন পর্ব অন্তে পরিসমাপ্তি ঘটবে। উক্ত আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে পূর্বপাড়া হরিসভা মন্দিরের আয়োজক কমিটির কোষাধক্ষ্য হিমাদ্রী শেখর দে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও দূর্গাপুজাকে ঘিরে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছি আমরা। গত বছরের তুলনায় এবার একটু ভিন্নতর নতুনত্তের আর্বিভাব রয়েছে। সব থেকে দৃষ্টিনন্দন হবে বেলুর মঠ আদলে প্যান্ডেল ও গেটের কারুকার্য। যেটি নজর কাড়বে এখানে আগত দর্শনার্থীদের। পুজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণিল আয়োজনে সাজানো অনুষ্ঠানমালা বিমহিত করবে সকলকে। এমনটি আশা ও প্রত্যাশা আমাদের সকলের।