প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড—ডে—মিল এর আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের একশত ৫০টি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে। দক্ষিণ এশিয়াতে কেবল বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেস্কোর মতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবী। প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যই হলো শিশুদের সাক্ষর করে গড়ে তোলা বা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তোলা। একইসাথে তাকে ভাষাজ্ঞানে ও গণিতে দক্ষ করা। পড়তে পারা মানুষের সামনে বিশে^র জ্ঞানরাজ্যের দ্বার খুলে যায়। যার সূচনা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই হয়। তিনি রবিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, যেসকল বিদ্যালয়গুলোয় খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেগুলোকে পাশ^র্বর্তী স্কুলের সাথে একীভূত করার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো কোটা না রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সাধারণভাবে অন্য চাকরিতে যেমন সাত শতাংশ কোটা রয়েছে, এখানেও তেমনটি থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করে তুলতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নিয়োগের ২০ শতাংশ গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাশ করাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। গাইড বই ও প্রাইভেট কোচিং এর বিষয়টি নিরুৎসাহিত করতে হবে। শহরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করার কাজ চলমান আছে। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ হুসাইন শওকত। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি—৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মোঃ তবিবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ফিরোজ শাহ, বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা অংশ নেন। মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন। পরে উপদেষ্টা একই স্থানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।—তথ্য বিবরণী