এফএনএস: মাঙ্কিপক্সের মহামারির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ-সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। এসব গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স¤প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতদ্বারা সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১লা জুন থেকে ২৯শে জুন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স সংক্রামক ভাইরাসের জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকিবে। আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি, এপি। অনুসন্ধানে দেখা জানা যায়, মাঙ্কিপক্স সংক্রামক ভাইরাসের জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকিবে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রীর নামের বানানে ভুল ও পদ ‘এমপি’র পরিবর্তে ‘এপি’ লেখা রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিজ্ঞপ্তিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয় না। বরং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অথবা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিগুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিবের সই রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতে স্মারক নম্বর উলেখ রয়েছে। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে উপ-সচিব বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিবের সই নেই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল আহমেদ গতকাল শনিবার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেওয়া হয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসে। তিনি আরও বলেন, যে ফরমেটে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেটি দেখে আমি নিশ্চিত এটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহŸান জানান তিনি। উলেখ্য, করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার এবং করোনা পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ২২ ফেব্র“য়ারি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।