এফএনএস বিদেশ: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এবার উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্য ইউরোপের দেশ সার্বিয়া। একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়ায় ১৫ জনের মৃত্যুরে ঘটনা ঘিরে শুরু হয় এই আন্দোলন। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গত রোববার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রায় ২৯,০০০ মানুষ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ। জমায়েতে প্রথম ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় মৃত ১৫ জনকে স্মরণ করে। পরের আধ ঘণ্টা “গর্জনের অর্ধ ঘণ্টা” বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই আধ ঘণ্টা প্রবল আওয়াজ করে প্রতিবাদ দেখানো হয়। প্রথমদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পিছনে আছে। কিন্তু রবিবারের জমায়েতের পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। গত সাত সপ্তাহ ধরে বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রবিবারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। খোদ সরকারের হিসাবে অন্তত ২৯,০০০ মানুষ জমায়েত হয়েছিল ওই দিন। যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্ররা। তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিনেতা, কৃষক সংগঠনও এতে যোগ দিয়েছে। এদিনের ঘটনার পর স্কুলগুলোতে শীতকালীন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সার্বিয়ার সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১ নভেম্বর উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়েছিল। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়। অভিযোগ করা হয়, সা¤প্রতিককালে দুইবার ওই স্টেশন সংস্কারের কাজ হয়েছে। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করানো হয়। সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু স¤প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে জনতার ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।