মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ডুমুরিয়া ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর আর নেই সাতক্ষীরায় আ’লীগকে শক্তিশালী করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায়- একে ফজলুল হক শ্যামনগরে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাতক্ষীরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু সহ ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া পাইকগাছার ১০ হাজার কৃষকের মাঝে নারিকেল চারা, বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে…. এমপি রশীদুজ্জামান আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুর্ধ ১৭ প্রস্তুতি সভা দরগাহপুর আফিল উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এডিশনাল ডিআইজি

শিক্ষা খাতের বরাদ্দ কোদাল দিয়ে কাটা হয়: রাশেদা কে চৌধুরী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

এফএনএস: প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোটামুটি বরাদ্দ থাকলেও সংশোধনের সময় বড় ধরনের হ্রাস করা হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্যান্য খাতের বরাদ্দ ছুরি দিয়ে কাটলেও শিক্ষা খাতের বরাদ্দ কোদাল দিয়ে কাটা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সবশেষ এডিপির রিভিশনে দেখেছি ১৬ হাজার কোটি টাকা বাদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকাই শিক্ষায়, আর ৪ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্যে। এই হচ্ছে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নমুনা। এডিবি সংশোধনের সময় শিক্ষাকে বেশি কর্তন করা হয়। সক্ষমতার অভাবে বরাদ্দ করা অর্থকে বাদ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, উপবৃত্তির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি কোনদিন ভাবা হয়নি। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষা উপকরণের দাম। কিন্তু গত কয়েক বছর আগে যে উপবৃত্তি দেওয়া হতো, এখনো সেই উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, বাড়ানোর কোনো লক্ষণ নেই। কেন বাড়ছে না, বাজেটে এই প্রশ্নের উত্তর নেই। শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষায় গবেষণা নেই। এর ফলে শিক্ষার ব্যয় ব্যহত হচ্ছে। নতুন শিক্ষকদের জন্য বেতন বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য কিছুই করা হয়নি। আবার সেখানে যাওয়ার জন্য গবেষণা নেই, যা আছে তা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু সেটাও পূরণের কোনো লক্ষণ নেই। সারসার্জ (সম্পদ কর) দিয়ে যমুনা সেতু করেছিলাম, প্রয়োজনে শিক্ষাকে আমরা সারচার্জ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অতিসাধারণ বাজেট বলে অভিহিত করে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, একটি অতিসাধারণ বাজেট, যা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিক্ষাকে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ উল্লেখ করে আগামী দিনের সুনাগরিক গড়তে বিনিয়োগের কথা বলেছিলেন। গত কয়েক বছরে আমরা দেখছি বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা হলেও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষণ নেই। বাজেটে শিক্ষায় অর্থ দেওয়াকে বরাদ্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিনিয়োগ হিসেবে চিন্তা করা হয় না। অথচ কত আগে বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন!

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com